অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ইপিজেড ইয়ংওয়ানের কয়েকশ শ্রমিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত

1
ইয়াংওয়ান কারখানার ফাইল ছবি।

চট্টগ্রামের ইপিজেডস্থ বিদেশী শিল্প গ্রুপ ইয়ং ওয়ানের একটি কারখানায় শত শত শ্রমিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ইপিজেডের ৩নং রোডে অবস্থিত ইয়ং ওয়ানের প্রতিষ্ঠানের ওআইএম নামক কারখানায় (জুতা তৈরীর ফ্যাক্টরী) অন্তত ৬ থেকে ৭ শতাধিক কর্মী বুধবার (৯ আগষ্ট) কারখানার দুষিত পানি পান করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন বলে কারখানার শ্রমিকরা জানান।

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়া শ্রমিকদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে ইয়ং ওয়ানের নিজস্ব মেডিকেল সেন্টারে। কিছু শ্রমিককে ভর্তি

 করা হলেও বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছুটি দেয়া হয় দুপুর থেকে। কর্তৃপক্ষ দিনভর বিষয়টি গোপন রাখে।

তবে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ-বেপজার জি এম মো: খোরশেদ আলম বিষয়টি শিকার করলেও আক্রান্ত শ্রমিকের সংখ্যা ৩০/৪০ জন বলে জানান।

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়া কয়েকজন শ্রমিকের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন-নয়ন বড়ুয়া, রফিক, রেজা, সাব্বির ও অজয় চাকমাসহ আরো অনেকে। এর মধ্যে অজয় চাকমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ছুটি দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয় মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।

ব্যারিষ্টার কলেজ রোডের বাসিন্দা রাজু ও নুরু নামের কারখানাটির দুই শ্রমিকের সাখে প্রতিবেদকের কথা হলে তারা পাঠক ডট নিউজকে জানান, বুধবার দুপুর থেকে তাদের কিছু সহকর্মীদের শারিরীক অবস্থার অবনতির হতে থাকলে তারা একে একে মেডিকেলে যেতে থাকে। পরে আমরা জানতে পারি তাদের সকলেরই ডায়রিয়া হয়েছে। এক পর্যায়ে আমাদের প্রায় ৭ শতাধিক সহকর্মী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এসময় আক্রান্তদের মধ্যে অনেক কেই আমাদের কারখানার নিজস্ব মেডিকেলে ভর্তি করে স্যালাইন দেয় চিকিৎসকরা। বাকিদের অবস্থা দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ঔষুধ দিয়ে ছুটিও দিয়ে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে বেপজার জি এম মো: খোরশেদ আলম পাঠক ডট নিউজকে জানায়, আমারা জানতে পারি ইয়ং ওয়ানের নিজস্ব মেডিকেলে আজ ৩০-৩৫ জন শ্রমিককে ডায়রিয়ার চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বেপজা মেডিকেলেও ইয়ং ওয়ানের ২ জন শ্রমিক চিকিৎসা নিতে আসে। যার মধ্যে একজন জানান তার পেটে ব্যাথা করছে। তবে এ সংখ্যা শতাধিক হবে কিনা আমার জানা নেই।

অসুস্থতার কারন জানতে চাইলে তিনি জানান, কর্মীরা সকাল বেলায় নাস্তা না করে খালি পেটে পানি খেয়েছিল হয়ত তাই পোটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়েছে।

এদিকে ঘটনা জানার জন্য ইয়ং ওয়ান এর চীপ মেডিকেল অফিসারের মোবাইল ফোনে বার বার কল দিয়েও তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি। তিনি ফোন ধরে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর কথা না বলে ফোন সংযোগ কেটে দেন।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান জানান, ইয়াংয়ান আমাদের অধিনে নাই, এটি সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের অথিনে। আমার দায়িত্ব জেলায়। তারপরেইও আমি খবর নিচ্ছি।

১ টি মন্তব্য
  1. Hero Barua বলেছেন

    বাজে খবর