অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আর্থিক সংকটে বন্ধ হওয়ার পথে ভাটিয়ারী প্রাথমিক বিদ্যালয় 

0
.

সারাদেশের শিক্ষার উপর সরকার যেখানে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। যেখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। সেখানে ব্যতিক্রম সীতাকুণ্ড উপজেলার ৯ নং ভাটিয়ারী ইউনিয়নের পূর্ব ভাটিয়ারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ভাটিয়ারী পূর্বপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরকারী-বেসরকারী কোন ধরণের সাহায্য না পেয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

২০১২ সালে উক্ত এলাকার কয়েকজন যুবক এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্কুলটি চরম অবহেলার শিকার। ৬ জন শিক্ষক দিয়ে কোন রকমে চলছে স্কুলের পাঠদান। স্কুল কমিটি ঠিকমত বেতন দিতে না পারায় এখানে কোন শিক্ষক বেশিদিন থাকেন না। বর্তমানে স্কুলে ১ ম শ্রেণী ৫ ম শ্রেণী পর্যন্ত দুইশত জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিভিন্ন সমস্যায় জর্জারিত এই স্কুলে সরকারী, বেসরকারী কোনভাবেই সহযোগীতা পাওয়া যাচ্ছে না।

সামান্য বৃষ্টিতে স্কুলের ভিতরে হাটু পরিমাণ পানি জমে যায়। পানি নিস্কাশনের সুষ্টু ব্যবস্হা না থাকায় একদিন বৃষ্টি হলে সেই পানি এক মাসেও শুকায় না। স্কুলের মাঠে হাটু পরিমান পানি হয়ে যায়, ফলে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসা যাওয়া করতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

এ ব্যাপারে স্হানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নাজীম উদ্দিন বলেন, এই বিদ্যালয়টি আসলেই চরম অবহেলার শিকার।

সরকারী-বেসরকারী কোনভাবেই সাহায্য পাওয়া যায় না। স্কুলে জলাবদ্ধতা নিরসনে আমি কিছুদিনের মধ্যে নিচু জায়গায় মাটি ফেলার ব্যবস্হা করবো যাতে বৃষ্টিতে স্কুলে পানি প্রবেশ করতে না পারে। স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক লুৎফর নেসা বলেন, আমরা খুবি কষ্ট করে স্কুল করছি, বৃষ্টির দিনে স্কুলে পানি ঢুকে আসবাবপত্রসহ জরুরী কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যায়। জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসতে চাই না।

স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনোয়ার আলম এবং সহ-সভাপ্রতি মোহাম্মদ ফারুক বলেন, এই ওয়ার্ডে কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় আমরা কয়েকজনে মিলে স্কুলটি প্রতিষ্টা করেছি, কিন্তু কোন রকম সাহায্য সহযোগীতা কারো কাছ থেকে পাচ্ছি না, বর্তমানে শিক্ষকদের বেতন দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা সরকারের পাশাপাশি সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।