চট্টগ্রাম মহানগরীতে পৃথক ঘটনায় ৩ যুবক খুন হয়েছে। সোমবার রাতে নগরীর ডবলমুরিং পাচঁলাইশ এবং বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় এ সব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে।
নিহতদেরা হলো বায়েজিদ আমীন কলোনী এলাকায় ইয়াছিন (১৬), পাঁচলাইশ থানার এম নাজের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ এলাকায় মিজানুর রহমান (১৮) ও ডবলমুরিং দেওয়ানহাট এলাকায় সাগর (১৮)।
পাঁচলাইশ থানার এএসআই মোমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ ও বায়জিদ থানার আনসার ক্যাম্প এলাকায় পৃথক ঘটনায় দুই তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল গিয়ে থেকে জড়িত সন্দেহে ৫জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এএসআই মোমিন বলেন,পাঁচলাইশ থানার এম নাজের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে মিজানুর রহমানের এবং বায়েজিদ থানার আমিন কলোনির আনসার ক্যাম্পের পাশের মাঠ থেকে ইয়াছিনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত দুজনের ঘাড়ে ও পিঠে চাপাতিঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একই ঘটনায় কয়েক শ’গজের মধ্যে (দুই থানা এলাকায়) দুজনকে খুন করা হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এএসআই পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, রাত ৯টার দিকে ইয়াছিন এবং রাত ১১টার দিকে মিজানের লাশ হাসপাতালে আনা হয়। শুনেছি প্রেম ঘটিত ঘটনার জের ধরে দুজনকে কুপিয়ে হত্যাকারা হয়েছে।
সিএমপির উপকমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ পাঠক নিউজকে বলেন, দুই তরুণকে পৃথক দুটি স্থানে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে। একই ঘটনার জের ধরে দুই তরুণ খুনের ঘটনা ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন, কী কারণে দুই তরুণকে খুন করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।
আবুল কালাম নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী পাঠক নিউজকে জানান, পার্শ্ববর্তি মসজিদে তারাবীর নামাজ শুরু হওয়ার সময় এম নাজের সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয়ে মাঠে এক যুবককে কয়েকজন যুবক মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
দুই স্থানে লাশ দুটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে চমেক পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই পঙ্কজ বড়ুয়া জানান, সন্ধ্যায় নগরীর ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট এলাকায় সাগর (১৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে আহত করে। পরে তাকে চমেক হাসপাতালে আনার পর রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।