অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

হাটহাজারীতে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংর্ঘষে গুলি বিনিময়, আহত ৪ (ভিডিও)

0
দুই গ্রপের মুখোমুখি অবস্থান, পুলিশ এক পাশে নীরব দর্শকের ভূমিকায়।

শোক দিবসের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে হাটহাজারীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংর্ঘষ ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে ঘটনার সুত্রপাত হলে সন্ধ্যার পর থেকে হামলা সড়ক অবরোধ গুলি বর্ষণ, অস্ত্রের মহড়া ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় হাটহাজারী সদরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।

এ সময় উভয়ের মধ্যে অন্তত ১৬ রাউন্ড গুলি বিনিময় হলে চেতনা ৭১ এর মেখল ইউনিয়ন সভাপতি আবদুর রহিম মুন্না (৩৬) গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতরা অন্যরা হলেন আবু সাঈদ (২১), সাঈদ (২২) ও অজ্ঞাতনামা একজন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাঙচুর করা প্রাইভেট কার। পাশে আহত চেতনা-৭১ নেতা মুন্না।

প্রতক্ষ্যদশী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১৫ আগষ্ট) বেলা ১২টায় জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মঞ্জুরুল আলম চৌধুরীর অনুসারী কলেজ ছাত্রলীগের একটি মিছিল হাটহাজারী কাচারী সড়ক অতিক্রম করে। এসময় তুচ্ছ বিষয়ে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক ইউনুচ গণি চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত আবু সাঈদ ও সাঈদ কলেজ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হয়।

এর জের ধরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইউনুচ গণি চৌধুরীর সমর্থকরা দেশীয় তৈরি অস্ত্রহাতে হাটহাজারী বাসস্টেশনে গিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় বিক্ষোভে অংশ নেয়া একটি পক্ষ জেলা আওয়ামীলীগ সদস্য মঞ্জুরুল আলম চৌধুরীর সমর্থকদের দেওয়া শোক দিবসের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে দেয়। পরে তারা মিছিলসহকারে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

সংর্ঘষের পর মঞ্জু গ্রুপের বিক্ষোভ। পাশে রাস্তায় পড়ে আছে গুলির খোসা।

ব্যানার ছেঁড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে পরক্ষণে মঞ্জুর অনুসারীরা দেশীয় তৈরি অস্ত্রহাতে বাসস্টেশনে এসে বিক্ষোভ করে। এসময় মঞ্জু সমর্থকরা ইউনুচ গণি চৌধুরী সমর্থক পৌরসভা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাহেদের দোকানে ভাঙচুর চালায় এবং অন্তত ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। তারা বাসস্টেশনে জিরো পয়েন্টে এলকায় ক্ষোভ করতে থাকে।

এসময় শোক দিবসের একটি অনুষ্ঠান শেষ করে উপজেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান তার নিজস্ব গাড়ী নিয়ে হাটহাজারী বাসস্টেশন অতিক্রম করার সময় হামলার শিকার হন। এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে অন্তত ৭ রাউন্ড গুলি বিনিময় ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। আহত হন চেতনা ৭১ এর মেখল ইউনিয়ন সভাপতি আবদুর রহিম মুন্না। নোমানের গাড়ী ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সঠকে পড়লে আধুনিক হাসপাতালের সামনে অন্তত আরো ৭ রাউন্ড গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

রাতে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি চলতে থাকলে জনমানব শূণ্য হয়ে পড়ে বাস স্টেশন এলাকা। গাড়িগুলো দিকবেদিক ভাবে ছুটতে থাকে।

এসময় হাটহাজারী-রাঙ্গামাটি, হাটহাজারী-অক্সিজেন ও হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আতঙ্কে বাসস্টেশন এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়ে।

সংর্ঘষের ব্যাপারে হাটহাজারী থানার ওসি বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে গোলাগুলির বিষয়ে তিনি কিছুই জানে না বলে উল্লেখ্য করেন।