অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বোয়ালখালী প্যাথলজি সেন্টারের বিরুদ্ধে ভুল ও মনগড়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগ

1
.

বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ 
বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম শাকপুরা গ্রামের কাসেম সওদাগরের মেয়ে শামীম আকতার মা হন গত ৬ মে। কোল জুড়ে আসে এক ফুটফুটে শিশু সন্তান।

জন্মের সাত দিনের মাথায় শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বামী মো. রফিককে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কাজী আবির আমানের স্মরণাপন্ন হন শামীম আকতার। চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্রে রোগ নিরূপণের জন্য রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দিলে দেড় হাজার টাকায় বোয়ালখালী প্যাথলজি সেন্টার থেকে রক্ত পরীক্ষা করানো হয়।

.

গত ১৩ বোয়ালখালী প্যাথলজি সেন্টার প্রদত্ত রক্তের বায়োকেমিক্যাল এনালাইসিস রিপোর্টে মোট সিরাম বিলিরুবিন পান ৬১.১ মিলিগ্রাম। রিপোর্ট দেখে চোখ কপালে উঠে চিকিৎসকের। তিনি দ্রুত অন্যত্র উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিলে নগরীর মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর গত ১৫ মে নগরীর একটি রোগনিরূপনী কেন্দ্রে আবারো একই পরীক্ষা করানো হলে তাতে মোট সিরাম বিলিরুবিন ১৯.১ পাওয়া যায়। সে অনুযায়ী চিকিৎসার ফলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন বলে জানায় শিশুটির মা শামীম আকতার।

এ ব্যাপার বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিকার চেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শিশুটির মা। তিনি অভিযোগে বলেন, মনগড়া ও ভুল রির্পোট প্রদান করে প্রতারণার ফলে সন্তানের জীবন হুমকির মুখে পড়েছিল। এছাড়া শিশুটির স্বাস্থ্যহানি ও অতিরিক্ত অর্থব্যয়সহ হয়রানি শিকার হতে হয়। এ ধরণের রোগী সাধারণের সাথে মনগড়া রির্পোটের মাধ্যমে প্রতারণার বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আখতার বলেন, কারো জীবন নিয়ে খেলতে দেয়া হবে না। অবশ্যই এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত বোয়ালখালী প্যাথলজি সেন্টারকে চলতি বছরের গত ২ জুলাই মেডিসিন প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ল্যাবরেটরী নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ আইন ১৯৮২ এর ২ ধারায় ৮হাজার টাকার অর্থদণ্ড দিয়েছিলো ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ আদালত পরিচালনা করেছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুবু আলম।

এসব ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির মালিক আনোয়ারের মুটোফোনে কল দেয়া হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

১ টি মন্তব্য
  1. Pujon Sen বলেছেন

    মানুষ কোথায় যাবে? কাকে বিশ্বাস করবে?