অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সংঘাতময় পরিস্থিতির জন্য বিচারপতি খায়রুল হকই দায়ী

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর বলেছেন তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক দেশকে চূড়ান্তভাবে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। গনতন্ত্রকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং সংঘাতময় পরিস্থিতির জন্য বিচারপতি খায়রুল হকই দায়ী।

তিনি ১৯ আগষ্ট শনিবার বিকালে নগরীর কাজীর দেউরীস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে হালিশহর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৭ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

বক্কর আরো বলেন, একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হয়ে সরকারের চাকরী গ্রহন করা নজিরবিহীন এবং আত্মবিক্রয়ের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম এখন বসবাসের অযোগ্য শহরে পরিণত হয়েছে। শহরে পানি নিষ্কাশনের নালা এবং খাল সমুহ বর্জ্য ফেলে অনেকটা অকার্যকর করে ফেলা হয়েছে। নালার উপর অপরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ও দোকান ঘর স্থাপন করে পানির গতি প্রবাহকে বাধাগ্রস্থ করেছে। তাতে বৃষ্টির পানি সরে যেতে না পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি ঐসব খাল সমুহ সংস্কার এবং কর্ণফুলী নদী ড্রেজিং করে গভীরতা বাড়ানোর জোর দাবী জানান।

হালিশহর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাহাবুবুল আলম পান্নার সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, সরকার দেশের বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে রাজনীতি করছে। এই সরকার জনগনের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে সাধারন মানুষের কথা চিন্তা না করে নিজেদের ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখতে নানাবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা একদিকে বিচার বিভাগকে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে অন্য দিবে রাতের আধারে আপোষ করার চেষ্টা করছে।

সাবেক ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান দিদারের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মনজুর আলম মনজু, প্রচার সম্পাদক সিহাব উদ্দিন মবিন, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নেতা আবদুল নবী প্রিন্স, আবদুল বাতেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ ইদ্রিস আলী,  খোরশেদ আলম কুতুবী, আজাদ বাঙ্গালী,  আবু মুছা, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, আবুল মনছুর রুমেল, যুবদল নেতা ছাইফুর রহমান শপথ, ছাত্রদল নেতা আলী মর্তুজা খাঁন, আলাউদ্দিন সুমন, বিএনপি নেতা এস এম মফিজ উল্লাহ, মো: ইলিয়াছ চৌধুরী, নুর মোহাম্মদ, নগর যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, এরশাদ হোসেন, আনোয়ার হোসেন, সেলিম উদ্দিন, শেখ সেলিম, মো: নওশাদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নবী হোসেন, মোঃ হানিফ, মোঃ মোতালেব, মোঃ ফরিদ , মোঃ রতন, মোঃ হাসান , মোঃ সোলেমান, মোঃ টিপু সুলতান, মোঃ নুরু, মোঃ ইউছুফ সুমন, রাসেদ খাঁন, এম এ হানিফ, মোঃ দুলাল সওদাগর, মাহাবুব আলম উজ্জল, গিয়াস উদ্দিন টিপু, সাইফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন মোঃ রুবেল, মোঃ সুরুজ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।