অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“মৌলভীবাজার কোর্টের আইনজীবিকে হাসিনা প্রধান বিচারপতি বানিয়েছেন”

2
.

শপথ ভঙ্গ, সংবিধান লঙ্গন ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে পদত্যাগ করার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ এমপি। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্তরে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবীতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।

প্রধান বিচারপতি তার আসনকে কলংকিত করেছেন মন্তব্য করে হাসান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কারনে উপজাতীয় ও সংখ্যালঘু থেকে প্রথম প্রধান বিচারপতি হয়েছেন এস কে সিনহা।

প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, “আপনার মতো মৌলভীবাজার কোর্টের আইনজীবিকে শেখ হাসিনাই প্রধান বিচারপতি বানিয়েছেন”। ‘আপনি রায়ের পর্যপক্ষেনে বর্তমান সংসদকে অপরিপক্ক বলেছেন অথচ এই সংসদই আপনার বেতন-ভাতা মঞ্জুর করেছে। আমি অনুরোধ করবো আপনার রায়ের পর্যবেক্ষণের প্রতি সম্মান রেখে এ যাবত আপনি যে বেতন ভাতা গ্রহন করেছেন সমস্ত বেতেন-ভাতা ফেরত দিন।

প্রধান বিচারপতি শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন জানিয়ে হাসান মাহমুদ বলেন, ২০১৪ সালে ১০ ই সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা চলাকালীন আপনি স্বীকার করেছিলেন ১৯৭১ সালে গ্রামেগঞ্জে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহযোগিতাকারী শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন। আপনি আজ পাকিস্তানের উদাহারণ টানছেন। আমাদের কাছে পাকিস্তানের উদাহারণ টেনে লাভ নেই। এটি পাকিস্তান নয়। পাকিস্তানকে তাড়িয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। আর এটি আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ জানে কেউ যদি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে সেটি কিভাবে মোকাবেলা করতে হয়। দেশের মানুষ যখন স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ দিচ্ছিল তখন আপনি পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করেছিলেন।

আদালত অনেক ধর্য্য ধরেছে-প্রধান বিচারপতির এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামীলীগ অনেক ধৈর্য্য ধরেছে। দেশের মানুষও অনেক ধর্য্য ধরে আছে। দেশের মানুষের ধর্য্য বেশিদিন থাকবে না। আমি অতীতের উদাহরণ দিতে চাইনা। প্রধান বিচারপতির এজলাসে লাথি মারা হয়েছিলো, এখনো সেই ঘটনা ঘটেনি। সেই ঘটনা ঘটুক আমরা চাইনা।

“বাংলাদেশে কামাল উদ্দিন হোসেনকে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ড. এস কে মনিমকে প্রধান বিচারপতি করার পর তিনি এক বছর এজলাসে বসতে পারেননি। এজলাসে বসতে না পারা অবস্থাতেই প্রধান বিচারপতির পদ থেকে তাকে বিদায় নিতে হয়েছে। আমরা চাই না দেশে আবার সে ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক।

তিনি বলেন, যখন দেশ আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে তখন দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র শুধু বিএনপি করছে তা নয়। বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে বসে জঙ্গিগোষ্ঠীর সাথে বৈঠক করছে। আজ তাদের কোন রাজনীতি নাই তারা একবার তেলগ্যাস রক্ষা কমিটির ইস্যু নিয়ে, আরেকবার ফরহাদ মাজহারকে নিয়ে রাজনীতি করেছে। আর এখন প্রধান বিচারপতির ঘাঁড়ে বসে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করে ক্ষমতাসনীন দলের সাবেক এ মন্ত্রী।

বিচারপতি খায়রুল হকের সমালোচনা করায় বিএনপি নেতা মওদুদ আহাম্মদের উদ্দেশ্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনার প্রতি আমি সম্মান রাখতে চাই, বিচারপতি খায়রুল হক সম্পর্কে আপনি যে অশালীন ভাষায় কথা বলেছেন সেটা আমি পুনরাবৃত্তি করতে চাই না। আপনি যা তাকে বলেছেন আপনি হচ্ছে তা। আপনি বেহায়া এবং নির্লজ্জ। সুতারাং কথা বেশি বাড়াবেন না।

বিএনপি’র উদ্দেশ্যে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, রায় নিয়ে বেশি লাফালাফি করবেন না। এই সিনহা বাবুর রায়ে উল্লেখ আছে জিয়াউর রহমান সামারিক শাসন জারি করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তার আইনগুলো অবৈধ। ড. হাছান মাহমুদ দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, উত্তর জেলা আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম চিশতী, উত্তর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, ঢাকা চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন খান, আওয়ামী লীগ নেতা তড়িৎ খান্তি দে, এমরুল করিম রাশেদ প্রমুখ।

২ মন্তব্য
  1. HM Asraf বলেছেন

    দলবাজির মজা বুঝুন।

  2. S Ahmed Shamim বলেছেন

    হায়রে দেশ…..