অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে বিএনপির এমপি হিসেবে আগ্রহী যারা

5
.

আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপি থেকেও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। চালাচ্ছেন নিজের প্রচারণা। ইতোমধ্যে ৯ শতাধিক প্রার্থীর একটি তালিকাও প্রস্তুত করেছে দলটি। এরা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত মাঠে থেকে খালেদা জিয়ার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবেন এবং নিজেদের অবস্থান তৈরি করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

ইতোমধ্যে অনেক প্রার্থী এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গণ সংযোগ শুরু করেছেন।

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই): আসনে বিএনপির সম্ভাব্য তিনজন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. কামাল উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক এমপি এমএ জিন্না ও থানা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইদ চৌধুরী। এছাড়া এ আসনে বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ারও প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি): দলের স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাদ কাদের চৌধুরী, দলের তথ্য ও গবেষণা সহ-সম্পাদক  সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী ও পেশাজীবী নেতা ড. খুশরিদ জামিল চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ): নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি মোস্তফা কামাল পাশা ও স্থানীয় নেতা মোস্তাফা বাবুল।

 এছাড়া এ আসনে নতুন মুখ হিসেবে নির্বাচনে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপি নেতা ও তারেক রহমানের আস্থাভাজন মিজানুর রহমান ভুইয়া মিল্টন।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকণ্ড- ও সিটির ৯ ও ১০ ওয়ার্ড): এখানে বিএনপির একক প্রার্থী দলের যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও সিটির ১ ও ২ ওয়ার্ড): দলের ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাসির উদ্দিন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হক, জেলা বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা ও সাবেক এমপি সৈয়দ ওহিদুর আলম। যদি কোন কারণে মীর নাসির নির্বাচন না করেন তাহলে এ আসন থেকে তার সুযোগ্য পুত্র ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল নির্বাচন করতে আগ্রহী। ইতোমধ্যে তিনি তার এলাকায় গণ সংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান): ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস কাদের চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলার কিছু অংশ): বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী অথবা ছেলে প্রার্থী হবেন।

চট্টগ্রাম-৮ (শ্রীপুর-খারনদ্বীপ ইউনিয়ন ব্যতীত বোয়ালখালী থানা ও সিটির ৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ড): দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোর্শেদ খান ও নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান।

চট্টগ্রাম-৯ (সিটির ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৪ ও ৩৫নং ওয়ার্ড): বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুল আলম, মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর।

চট্টগ্রাম-১০ (সিটির ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ২৪, ২৫ ও ২৬নং ওয়ার্ড): বিএনপি একক প্রার্থী দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লা আল নোমান।

চট্টগ্রাম-১১ (সিটির ২৭, ২৮, ২৯, ৩০, ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০ ও ৪১নং ওয়ার্ড): দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাবেক এমপি রোজী কবির।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া ও আনোয়ারা উপজেলার কিছু অংশ): দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী শাহজান জুয়েল, সহ-সভাপতি এনামুল হক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইরদিস মিয়া।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা ও পটিয়া উপজেলার বাকি অংশ): নির্বাহী কমিটির সদস্য সারওয়ার জামাল নিযাম ও জেলার সদস্য অ্যাড. কবির চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-১৪ (চান্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার কিছু অংশ): এই আসনটি এখনো জোটের একটি শরিক দলের নির্ধারিত শরিকদের জন্য। আগে এখানে কর্নেল অলি আহমেদ নির্বাচন করেছেন। যদি জোটের কাউকে না দেওয়া হয় তাহলে বিএনপির প্রার্থী ড. হোসেন মহসিন জিল্লুর রহমান।

চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলার কিছু অংশ): এই আসনটি আগে জামায়াতের ছিল। এবার প্রার্থী বিএনপি থেকে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ মো. মহিউদ্দিন, ব্যবসায়ী আ. গফুর চৌধুরী ও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী): সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী ও স্থানীয় নেতা লিয়াতক আলী।

৫ মন্তব্য
  1. Shahed Akboer বলেছেন

    ভাই আমার নাম টা দিলে ভাল হত, যুবদলের কমিটি নাই কি হইছে পত্রিকায় তো থাকবে। আমি চট্টগ্রাম পশ্চিম জেলার এমপি প্রার্থী, আছি।

    1. Saiful Islam Shilpi বলেছেন

      আপনি যখন নেতা, এমপি হয়তো হয়ে যাবেন। আজ অথবা কাল।

  2. Apxn Monjur Morshed Rony বলেছেন

    মরহুম সাকা চৌধুরীর পরিবারের কেউ নেই কেন?

  3. Saiful Islam Shilpi বলেছেন

    নিউজটা পড়।

  4. আতিকুল ইসলাম লিমন বলেছেন

    মন্তব্য লিখুনঃচট্টগ্রাম ১০ আসনে ইতিমধ্যেই প্রচারণা চালাচ্ছেন জামায়াত নেতা আলহাজ্ব শাজাহান চৌধুরী।