বাঁশখালীতে রাস্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৩ শিক্ষক কারাগারে
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এক ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে তুলনা করে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করার অভিযোগে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ১৩জন শিক্ষককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে বাঁশখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন এ আদেশ দিয়েছেন। এর আগে এই ১৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছিল।
বাঁশখালী থানার ওসি মো.আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ‘বাংলদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বিষয়ে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সাথে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ বিরোধী ও গন্ডামারা ইউপি’র বসতভিটা ও গোরস্থান রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক এবং বিএনপি নেতা লেয়াকত আলীর সাথে তুলনা করে প্রথম সাময়িক পরিক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করে পরিক্ষা নেওয়া হয়।
যথারীতি ঐ দিন পরিক্ষা শেষে সচেতন মহলে বিষয়টি নজরে আসলে তৎক্ষণাৎ সামাজিক গণমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি গোচর হলে তৎক্ষণাৎ প্রশ্নপত্র নির্মাতাকারী বাঁশখালী বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দুকুল বড়ুয়াকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলিশে সোপার্দ করে। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ছয়টি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক সহ প্রশ্ন নির্মাতাকারীকে আসামী করে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করে রাষ্ট্রপক্ষ।
মামলা দায়েরের পর ১৩ শিক্ষক সুপ্রিম কোটের্র হাইকোর্ট ডিভিশন হতে তিন মাসের আগাম জামিন লাভ করে। গতকাল বুধবার আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় পুনরায় নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন অভিযুক্ত ১৩ শিক্ষক। দীর্ঘ শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত ১৩ শিক্ষকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করে।
উল্লেখ্য উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নে দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারী প্রকল্প কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণে বাধা দিয়ে বিএনপি নেতা লেয়াকত আলী আলোচিত হয়ে উঠে। এ ঘটনাকে পুঁজি করে অতি উৎসাহী পরায়ণ হয়ে কিছু শিক্ষক ওই লেয়াকত চেয়ারম্যানকে বঙ্গবন্ধুর সাথে তুলনা করে প্রশ্নপত্র তৈরী করে।