অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আমিন জুট মিলে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, সড়ক অবরোধ

0
.

ঈদের আগে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবীতে আন্দোলনকারী চট্টগ্রামের আমিন জুট মিলস শ্রমিকদের সাথে পুলিশের সংর্ঘষ ও সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সড়কের ওপর কাঠ-টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ এবং কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করেছে। সংঘর্ষে অন্তত ১২ শ্রমিক আহত হয়েছে বলে শ্রমিক নেতারা জানান।

আজ মঙ্গলবার নগরীর বায়োজিদ থানা এলাকায় হাটহাজারী সড়কে এ সংঘর্ষের ঘটনায় বেলা ৩টা পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।

শ্রমিরা জানান, বকেয়া বেতনের দাবীতে মঙ্গলবার ১০টা থেকে নগরীর বায়েজিদ এলাকায় আমিন জুট মিলের সামনে ব অবস্থান নেয়। পরে বায়োজিদ থানা পুলিশ শ্রমিকদের জোর করে কারাখানার ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়। এরপর শ্রমিকরা আবার সংগঠিত হয়ে কারখানা থেকে রাস্তায় এসে বিক্ষোভ করতে থাকলে পুলিশ তাদের উপর লাঠিপেটা শুরু করে। এসময় পুলিশ ও শ্রমিকদের থাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সঙ্গে সংঘর্ষে শুরু হয়।

.

ঘটনাস্থল থেকে বায়োজিদ থানার এসআই মো. ওসমান গণি জানান, কয়েকশ শ্রমিক চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কের উপর অবস্থান নিয়ে টায়ার ও গাছের গুড়িতে আগুন দিয়ে অবরোধ করলে আতুরার ডিপো থেকে রৌফাবাদ পর্যন্ত সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে শ্রমিক নেতা ও মিল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।

বেলা আড়াইটার দিকে শ্রমিক প্রতিনিধি, পুলিশ ও মিল কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৈঠক শুরু হয়। এর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।

.

আমিন জুট মিল ওর্য়ার্কাস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম জানান, এখনো কোন সমধান পায়নি। বৈঠক চলছে। এতে সন্তুষজনক সমাধান হলে আমাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে।

শ্রমিকরা জানায় রাস্ট্রায়াত্ব আমিন জুট মিলে ১৫টি বিভাগে বর্তমানে অস্থানীয় এবং স্থায়ী ৪ হাজার শ্রমিক রয়েছে। তাদের গত ৭ সপ্তা ধরে বেতন বকেয়া রয়েছে। এখনো ঈদুল আযাহা এবং বকেয়া বেতন পরিশোধ না করায় আন্দোলনে নেমেছে শ্রমিকরা।

এদিকে মিল কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আজ সকালে বেতন দেয়ার সময় নির্ধারণ ছিল। সে মোতাবেক শ্রমিকদের আপাততে ২ মাসের বেতন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শ্রমিকরা তা না মেনে সড়ক অবরোধ করেছে।