অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নোয়াখালী থেকে অপহৃত স্কুল ছাত্রী হাটহাজারীতে উদ্ধার

0
.

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থেকে অপহৃত এক স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী পুলিশ। আজ ৩১আগষ্ট বৃহস্পতিবার উপজেলার লোহাড়পুল হতে নাদিয়া আরফিন দোলন (৯) নামে শিশুটিকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী ২ জনকে আটক করা হয়।

আটক দুজন হলেন- নাদিয়ার ফুফাতো বোন শাহনাজ পারভিন ওরফে পাখি (১৯) ও তার স্বামী নুর ইসলাম হৃদয় (২৩)।

পুলিশ জানায়, গত ২৬ আগষ্ট বিকেলে স্কুল থেকে ফেরার পথে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার পতিশ এলাকার ওমান প্রবাসী মোঃ দুলাল হোসেনের মেয়ে ও পতিশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী নাদিয়া আরফিন দোলনকে অপহরন করে তারই ফুফাতো বোন ও তার স্বামী নুর ইসলাম হৃদয়।

নাদিয়াকে অপহরন করে প্রথমে কুমিল্লায় এবং পরে রেলযোগে চট্টগ্রাম নিয়ে আসে। পরে হাটহাজারীর এক আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে রাখেন অপহরনকারীরা। অপরদিকে মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর সোনাইমুড়ি থানায় জিডি এবং র‌্যাব-৭কে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন তার পরিবার।

নাদিয়ার চাচা আলাউদ্দিন বলেন, র‌্যাব আসামীদের মোবাইল ট্যাকিং এর মাধ্যমে অপহরনকারীদের অবস্থান হাটহাজারীতে নিশ্চিত করেন, তারা বিশ হাজার টাকা বিকাশে পাঠাতে বললে দুশত টাকা পাঠিয়ে বাকী টাকার জন্যে অপেক্ষা করতে বলে র‌্যাবের তথ্যমতে উপজেলার লোহারপুল এলাকায় একটি দোকানে গিয়ে টাকা তোলার সময় আজ সকালে স্বামী-স্ত্রী আটক করে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে হাটহাজারী থানা পুলিশ গিয়ে সবাইকে আটক করে।

অপহরনকারী শাহনাজ পারভিন ওরফে পাখি এবং স্বামী নুর ইসলাম হৃদয় যথাক্রমে পতিশ এলাকার আজিজ পাটোয়ারী বাড়ির মোঃ শফিউল্লাহর মেয়ে এবং লক্ষীপুরের রামগতি থানার চরটিকার আকাব্বর সওদাগর বাড়ির আনিসুর রহমানের পুত্র।

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, র‌্যাবের সহযোগিতায় ভিকটিমসহ অপহরনকারীদের আটক করা হয়েছে, মুক্তিপণের আশায় শিশুটিকে অপহরন করা হয়েছিল বলে ধৃতরা স্বীকার করেন। উদ্ধার হওয়া শিশু এবং আটককৃততাদের সোনাইমুড়ি থানায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।