অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“এত মাংস দিয়ে কি করবো তাই বিক্রি করে দিই”

0
.

নগরীতে ঈদুল আজহার দিনে বসছে মাংস বিক্রির হাট। বলা যায় বছরে একদিনের জন্য বসে এ হাট। এই হাট শুধু মাংস কেনা-বেচার হাট। তবে এটি কোনো বাজারের মাংসের দোকান নয়। যারা বিক্রি করছে তারাও মাংস ব্যবসায়ী নয়। শুধুমাত্র একদিনের জন্য বসেছে মাংস বিক্রি করতে। কোরবানির ঈদে সারাদিন বাসা বাড়িতে ঘুরে যারা মাংস সংগ্রহ করেছে তারাই আবার বিকালে মাংস বিক্রি করতে বসেছে। মাংস বিক্রির একেক জনের কাছে একেক রকম।

কেউ বিক্রি করছেন কেজি হিসেবে কেউবা বিক্রি করছেন থলে হিসেবে। কেজি বিক্রি করছেন কেউ ৪ শত টাকা কেউ ৫ শত টাকা ধরে। ক্রেতারাও দরদাম করছেন প্রকারভেদে।

ঈদের দিন বিকেল বেলা নগরীর কর্নেলহাট এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন স্থানে লাইন দিয়ে বসে কোরবানির মাংস বিক্রি করছে। ক্রেতা সমাগমও বেশ ভালো। কোরবানির মাংস বলে চাহিদাও বেশি। যাদের কোরবানি দেয়ার সামর্থ্য নেই আবার যারা কোরবানি গ্রামের বাড়িতে দিয়েছেন কিন্তু শহরে ঈদ করছেন এমন ক্রেতারাই এসেছেন মাংস কিনতে।

মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন-মধ্যবিত্ত সব ধরনের ক্রেতা রয়েছে।

এছাড়াও অনেক হোটেল মালিকও এসব মাংসের ক্রেতা। মাংস যেখানে কেজি ৬ শত টাকা সেখানে অল্প দামে পেয়ে হোটেল মালিকরা এ মাংস সংগ্রহ করে রাখেন।

সকাল থেকে বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ঘুরে মাংস সংগ্রহ করেছেন আমির আলী, তিনি বলেন, আমি সারাদিনে প্রায় ১২ কেজির মতো মাংস পেয়েছি এত মাংস দিয়ে কি করবো। আমারতো ঘরে ফ্রীজ নেই। মাংস রাধঁতে তো তেল লাগে, মসলা লাগে। এই কারণে বেশিরভাগ মাংস বেচে দিয়ে অল্প কিছু নিয়ে ঘরে যাবো।