অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মায়ানমারে বৌদ্ধরা তাদের ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বিচ্যুত হয়ে আজ হায়নায় পরিণত হয়েছে

0
.

মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমান নির্যাতন ও গণহত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে বিশাল মানবন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার দেশব্যাপী কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সকালে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন- হাজার হাজার বছর ধরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আরাকান রাজ্যে বসবাস করে আসছে। কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলমানদের এই পবিত্র ভূমিকে মুসলিম জনশূন্য করার লক্ষ্যে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা-পুলিশ ও মগদস্যুরা ইতিহাসের ঘৃণ্যতম বর্বরোচিত মুসলিম গণহত্যা চালাচ্ছে।

বক্তারা আরো বলেন রোহিঙ্গা মুসলমানের কান্নায় পৃথিবীর আকাশ ভারি হয়ে উঠেছে। মায়ানমার সরকার সেখানকার মুসলিমদের ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, নারী-শিশু ও বৃদ্ধদের নিপীড়ন, জ্বলন্ত আগুনে পুড়িয়ে মারছে। ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে মুসলমানদের নিজ জন্মভূমি ছাড়া করছে।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর এত নির্মম নৃশংস নির্যাতন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হওয়ার পরেও বিশ্ব বিবেক আজ নীরবতা পালন করছে। মায়ানমারের বৌদ্ধরা তাদের ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বিচ্যুত হয়ে আজ হায়নায় পরিণত হয়েছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের বাঙালি আখ্যায়িত করে বাংলাদেশের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছে। তার কড়া জবাব দেওয়া এদেশের সরকার ও জনগণের নৈতিক দায়িত্ব। তিনি নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ ভূমি প্রতিষ্ঠা করে রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা বন্ধ এবং তাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে মায়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার আহবান জানান।

.

প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ধর্মের নামে কোনো মানুষকে তার মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত করা মানবাধিকার লঙ্ঘন। মায়ানমান সরকার ও তার পেটুয়া বাহিনী রাখাইন রাজ্যে একের পর এক নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা ও নির্যাতন চালাচ্ছে। অং সান সুচি গণতন্ত্রের কথা বলে মানুষ হত্যায় নেমেছেন। বৌদ্ধ ধর্মের গুরু গৌতম বুদ্ধের অমিয় বাণী প্রাণি হত্যা মহাপাপ ও জগতের সকল প্রাণি সুখি হোক কিন্তু মায়ানমার বৌদ্ধরা আজ হায়নায় পরিণত হয়েছে। আজ তারা তাদের ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বিচ্যুত হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি এম.এ. আজিজ’র সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক এস.এম. সাইফুল আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপি’র সহ-সভাপতি মো: মিয়া ভোলা, জয়নাল আবেদীন জিয়া, আশরাফ চৌধুরী, হারুন জামান, সৈয়দ আহমদ, এড. মফিজুল হক ভূঁইয়া, এড. আবদুস সাত্তার সরওয়ার, এম.এ. হান্নান, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, মো: শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ সিহাব উদ্দিন আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম মনজু, কামরুল ইসলাম, মনজুর রহমান চৌধুরী, নগর বিএনপি’র সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমান্ডার সাহাব উদ্দিন, মো: শাহ আলম, আবু জহুর, জহির আহমদ, ইব্রাহিম চৌধুরী, মাহবুবুল হক, সিহাব উদ্দিন মবিন, এড. সিরাজুল ইসলাম, মাহমুদ আলম পান্না, এম.আই. চৌধুরী মামুন, হামিদ হোসেন, নুরুল আকবর কাজল, আবদুল নবী প্রিন্স, নুরুজ্জামান, আমিন মাহমুদ, শহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, আবদুল হালিম স্বপন, কাউন্সিলর মো: আজম, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মোশারফ হোসেন ডেপটি, সাইফুর রহমান বাবুল, আবদুল্লাহ আল হারুন, নগর বিএনপি’র সহ-সম্পাদকবৃন্দ মো: ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, সেলিম উদ্দিন শাহীন, আজাদ বাঙ্গালী, ইউনুছ চৌধুরী হাকিম, মো: আবু মুছা, আলমগীর নূর, ফয়েজ আহমদ, আবুল খায়ের মেম্বার, আবদুল হাই, আলী আজম, এড. নেজাম উদ্দিন, সালাউদ্দিন লাতু, জসিম উদ্দিন জিয়া, মো: বাদশা মিয়া, আফতাবুর রহমান শাহীন, মো: জাকির হোসেন, মো: শরীফ খান, নুর হোসেন, মনির আহমদ চৌধুরী, জেলি চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন বুলু, শওকত আজম খাজা, শাহজাহান কবির শাহীন, আবদুল মান্নান রানা, মামুনুর রশিদ শিপন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।