অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

পশ্চিম মাদারবাড়ীতে পিতাকে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টা

0
গ্রেফতারকৃৃত মা ও ছেলে।

চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানাধীন পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকায় পিতাকে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টার সময় ধরা পড়েছে মা, ছেলে, মেয়ে ও খালাসহ ৫ জন। খুনের শিকার তৈয়ব আলীর লাশ পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ জানায় (৯ সেপ্টেম্বর) শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে বস্তাভর্তি তৈয়ব আলীর লাশ নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি বালিকা বিদ্যালয়ের পার্শ্বে (রশিদ বিল্ডিং এর কাছে) রাস্তার পাশে ড্রেনে ফেলে দেয়ার সময় স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ প্রথমে ছেলে মো. সোহেল (১৯), এবং লাশ বহনকারী রিক্সা চালককে (অজ্ঞাত) আটক করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সোহেলের মা কোহিনুর বেগম (৩৮), খালা জাহানারা বেগম (৪১) বোন বৃষ্টিকে (১৭)কে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাতে সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মর্জিনা আক্তার পাঠক ডট নিউজকে জানান, পারিবারিক বিরেধের জের ধরে ৮ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ভাঙ্গারী দোকানী প্রতিবন্ধি তৈয়ব আলী (৫২) কে পশ্চিম মাদারবাড়ি টং ফকির মাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় মা-ছেলে ও তাদের খালা মিলে কাঠ দিয়ে আঘাত ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে  এবং বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশ বস্তাভরে একদিন বাসায় রেখে দেয়। শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে লাশ গুম করার জন্য একটি রিক্সায় নিয়ে বের হয় সোহেল ও তার এক বন্ধু।

ওসি জানান, তারা পশ্চিম মাদার বাড়ি থেকে কিছুদুর গিয়ে স্ট্যান্ডরোড পশ্চিম মাদারবাড়ী বালিকা বিদ্যালয়ে সামনে সড়কের পার্শ্বে ড্রেনে বস্তাভর্তি লাশটি ফেরার সময় আশেপাশের কয়েকজন দেখে ফেলে। স্থানীয়রা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কোন উত্তর না দিয়ে চুপ থাকে। এতে লোকজনের সন্দেহ হলে বস্তা তুলে দেখে ভীতরে লাশ রয়েছে।

এসময় লোকজনের ভীড়ে সোহেলের বন্ধু পালিয়ে গেলেও সোহেল ও রিক্সা চালককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে সদরঘাট থানা পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল তার মা-খালা মিলে তার বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে টং ফকিরের মাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ মা, খালা ও ছোটবোনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ রাতেই সোহেলের পলাতক বন্ধুকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে।

এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় সদরঘাট থানা পুলিশ।