অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

দেশের প্রথম নির্বাচিত নারী চেয়ারম্যান তাহমিনা হকের মৃত্যু

0
.

চলে গেলেন নারী নেত্রী তাহমিনা হক চৌধুরী।রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার ‘ জয়িতা’পদক প্রাপ্ত চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন উরিরচর ও সাগরে বিলীন কাটগড় ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন। বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত মহিলা চেয়ারম্যান হিসেবেও তাহমিনা চৌধুরী সমধিক পরিচিত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।

৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। এদিন সন্ধ্যায় মীরশ্বরাই আমানটোলা বিশ্ব দরবারে জানাযা শেষে তাকে সমাাহিত করা হয়।
১৯৮৫ সালে উরিরচর ইউনিয়ন গঠনের পর প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তাহমিনা।এর পর তিনি টানা ১৫ বছর নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে এ ইউনিয়নের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি সন্দ্বীপের ভেংগে যাওয়া কাটগড় ইউনিয়নেরও চেয়ারম্যান ছিলেন।তার পিতা শামসুদ্দিন মিয়া সন্তোষপুরের এবং স্বামী আছাদুল হক সাহাব মিয়া কালাপানিয়া ইউনিয়নের দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এ ছাড়া তার একমাত্র ছেলে সাইফুল হক বায়রন মিয়াও বর্তমানে কালাপানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন সমাজ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে নিয়োজিত ছিলেন। বিচ্ছিন্ন ও শিক্ষার আলো বঞ্চিত উরিরচরে তিনটি প্রাথমিক ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্টায় তার অন্যতম সসহযোগিতা ছিল। কাটগড়, উরিরচর ও কালাপানিয়া ইউনিয়নে তার প্রদত্ত জমিতে গড়ে উঠেছে স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। তিনি সন্দ্বীপের ৬০ মৌজা উদ্বার ও সাগরে বিলীন হয়ে যাওয়া ভূখন্ডের ৬০০ বর্গমাইল সীমানা পুনরুদ্ধারে উচ্চ আদালতে তিনটি মামলা দায়ের করেন।
সমাজ উন্নয়নে  বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ২০১৪ ইং সনে এবং বিভাগীয় পর্যায়ে একই ক্যাটাগরীতে ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা হক চৌধুরীকে সন্মাননা সহ পুরস্কারে ভূষিত করেন।