অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে “চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টার”

8
ছবি: চিটাগাং মেডিকেল সেন্টারের নিজস্ব ওয়েব সাইট থেকে সংগ্রহ।

নগরীর ও আর নিজাম রোড এ অবস্থিত বেসরকারী হাসপাতাল “মেডিকেল সেন্টার”কে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

অপারেশন থিয়াটারে মেয়াদউত্তীর্ন ঔষধ ব্যবহার, প্যাথলজিতে মেয়াদউত্তীর্ন রিএজেন্ট ব্যবহার ও ওষুধ সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ না করার কারনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া মুন মঙ্গলবার বিকালে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অর্থদণ্ড আদায় করেন।

.

রাতে জেলা প্রশাসনের প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অভিযান সম্পর্কে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী হাকিম তানিয়া মুন জানান, ক্লিনিকটিতে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহার করা হচ্ছে মেয়াদউত্তীর্ন ড্রাগ, এর মধ্যে জীবন রক্ষাকারী অতি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ অপারেশন থিয়েটারে পাওয়া যায়, যার মেয়াদ পার হয়ে গেছে ৬ মাস থেকে এক বছর আগেই। এগুলো অপারেশনে ব্যবহার করলে মৃত্যু ঘটারও সম্ভাবনা থাকে বলে জানান উপস্থিত মেডিকেল অফিসার এবং সিভিল সার্জন চিটাগাং এর প্রতিনিধি ড. রায়হান।

এসময় ল্যাবেরটারির পরীক্ষাগারে পরীক্ষানীরিক্ষার কাজে ব্যবহৃত রিএজেন্টও মেয়াদউত্তীর্ন। এই সকল ঔষধ ও রিএজেন্ট জব্দ করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এসময় এগুলো ব্যবহার করার দায়ে “মেডিকেল সেন্টার”কে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

.

এছাড়া ফার্মেসিতে যে ঔষধ সংরক্ষণ করা হচ্ছে তা ২৫ ডিগ্রি সেন্ট্রিগ্রেড তাপমাত্রারর নিচে রাখার নির্দেশনা থাকলেও ঔষধগুলো ৩২/৩৩ সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখা আছে।

ভ্রাম্যমান আদালতের প্রসিকিউটর ড্রাগ সুপার শফিকুর রহমান জানান, এতে অষুধের গুনাগুন নষ্ট হয়ে তা বিষাক্ত হয়ে যাবার সম্ভাবনা থেকে যায়। এভাবে ওষুধ রাখা ড্রাগ আইন ১৯৪০ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।এ ছাড়াও এক্সরে এবং রেডিওলজি বিভাগে টেকনিশিয়ান হিসেবে যাকে পাওয়া যায়, তার কোন প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা সনদ নেই। সনদবিহীন অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে চলছিল এক্সরের মত স্পর্শকাতর পরীক্ষা। সনদবিহীন লোক দিয়ে রেডিওলজি চালানোর কারনে প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা এবং সতর্ক করা হয়।

.

ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের সাথে ছিলেন সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি এমওসিএস ড. রায়হান, ড্রাগ সুপার শফিকুর রহমান এবং আনসার ব্যাটেলিয়ন সদস্যবৃন্দ।

৮ মন্তব্য
  1. Haidar Ali বলেছেন

    আমার আব্বার চিকিতসা গাফিলতি নিয়ে আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে চেয়েছিলাম।
    পরে শুভাকাঙ্খীদের অনুরোধে আর করতে পারিনি।
    বিশ্রী অবস্থা চিকিতসা মান ও সেবার?
    তার উপর যদি মেয়াদোত্তীর্ণ ড্রাগস ব্যবহার করে তাহলে তো এটি রোগীর জীবন নিয়ে খেলা করে টাকা কামানো ছাডা কিছু নয়?

  2. Riponctg Ripon বলেছেন

    মাএ এক লক্ষ টাকা জরিমানা ।হাস্যকর ব্যাপার । এটা তো ওদের একটা খোঁচার টাকা মাত্র ।।।

  3. Sheikh Khurshan বলেছেন

    এটা তো nothing. ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে সন্চিষ্ট সকল ডাক্তারদের সনদ বাতিল ও কম পক্ষে দশ কোটি করে প্রতি item এর উপর জরিমানা করা হোক, তাহলে অন্যরা শিক্ষা নিবে, কেউ এ কাজ করবে না , পাশাপাশি এ হসপিটাল কে ছিল দিনের জন্য শীল করে দেওয়া হোক ।
    Editor, Bangla News, USA.

  4. Sul Tana বলেছেন

    এটা কিভাবে সম্ভব।

  5. Md Jashim বলেছেন

    উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হউক,ধন্যবাদ ভ্রাম্যমান আদালতকে

  6. Bahar Uddin বলেছেন

    ডাক্তাররা যখন অপরাধ করেন তখন ব্যবস্থা নিতে গেলে সকল ডাক্তার আন্দোলন আন্দোলন খেলেন। এ বিষয়ে বিএমএ ও ডাক্তারদের কোন কথা নেই কেন?

  7. Bahar Uddin বলেছেন

    আমার পরিচিত এক মহিলা অসুস্থবোধ করিতেছেন। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ধরা পড়ল কিডনীতে পাথর হয়েছে। পাথর সরানোর জন্য চট্টগ্রামের একটি ক্লিনিকে অপারেশন করানো হয়। অপারেশন থিয়েটারে পাথর সরাতে গিয়ে পুরো একটি কিননিই বের করে ফেলা হয়। ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করলে ওই ডাক্তারের নাকি উত্তর ছিল অপারেশন থিয়েটারে আপনাদের জিজ্ঞাসার সময় ছিল না। পরে ওই রোগীর অভিভাবকরা নানা হা-হুতাশ করে ভাগ্যকেই মেনে নিয়েছেন।

  8. Bahar Uddin বলেছেন

    আমার পরিচিত এক মহিলা অসুস্থবোধ করিতেছেন। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ধরা পড়ল কিডনীতে পাথর হয়েছে। পাথর সরানোর জন্য চট্টগ্রামের একটি ক্লিনিকে অপারেশন করানো হয়। অপারেশন থিয়েটারে পাথর সরাতে গিয়ে পুরো একটি কিননিই বের করে ফেলা হয়। ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করলে ওই ডাক্তারের নাকি উত্তর ছিল অপারেশন থিয়েটারে আপনাদের জিজ্ঞাসার সময় ছিল না। পরে ওই রোগীর অভিভাবকরা নানা হা-হুতাশ করে ভাগ্যকেই মেনে নিয়েছেন।