অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

পতেঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দুর্গা উৎসব

0
.

বঙ্গোপসাগরে প্রতিমা বির্সজনের মধ্যদিয়ে শেষ হল সনাতন ধর্মীয় (হিন্দু) সম্প্রদায়ের বৃহৎ ও প্রধান ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দূর্গাপূজা। এই পূজাকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে ৫ দিন ব্যাপি চলেছিল নানা রকম কর্মযজ্ঞ।

আজ রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিজয়া দশমীতে দেবী দূর্গাকে দোলায় চড়িয়ে কৈলাশের পথে ঢাক-ডোল, বাদ্য বাজনার তালে তালে এবং রং চিটিয়ে বিদায় জানাতে দুপুর থেকেই নগরীর পতেঙ্গা সমূদ্র সৈকতে ভিড় জমান সনাতন ধর্মালম্বীদের সম্প্রদায়ের লোকজন।

সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া উপলক্ষে চসিকের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এতে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অসুস্থ্যতার কারণে তিনি অনুষ্ঠানে যেতে পারেন নি। তবে মেয়র নিজ বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন।

.

মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, অশুভ শক্তির বিনাশ, ঐক্য ও মহামিলনের প্রতীক দূর্গোৎসব যুগ যুগ ধরে সনাতনী ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মাঝে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সেতুবন্ধন রচনা করে যাচ্ছে। প্রতি বছর দূর্গোৎসবের মধ্যে দিয়ে অসৎ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্য, সুন্দর ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং শান্তি ও কল্যানে ব্রতী হওয়ার প্রেরনা যোগায়।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর উন্নয়ন ও সেবায় জাতি-ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলের সার্বিক সহযোগিতা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চট্টগ্রামের পবিত্র ভূমিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রয়েছে। নারী শক্তি মহামায়া দেবী দূর্গা ১০ ধরনের অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ৯ দিন ব্যাপি যুদ্ধ শেষে মহিষাসুরকে পরাজিত ও হত্যা করে অত্যাচারীর পতন ঘটান।

মেয়র আরো বলেন, বাংলাদেশে হাজারো অত্যাচারি অসুরের উদ্ভব হয়েছে, তারা দেশ ও জাতিকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চাকাকে চলমান রাখতে আজ আমাদের চেতনায় চাষ করতে হবে মানবিক গুণাবলি। চট্টগ্রামকে সকলের জন্য বাসপোযোগী, নান্দনিক ও বিশ্বমানের মেগাসিটিতে উন্নিত করা হবে। এ লক্ষে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি নগরীর ২৬৬ টি পূজা মন্ডপে শান্তি শৃংখলা রক্ষা সহ সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে প্রশাসনের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। মেয়র চট্টগ্রাম মহানগর, থানা, ওয়ার্ড ও মন্ডপ ভিত্তিক পূজা উদযাপন কমিটি, কাউন্সিলর, সমাজসেবক , সাংবাদিক সহ নানা শ্রেনী ও পেশার সকলকে সাধুবাদ জানান।

.

চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অরবিন্দ পাল অরুপ প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে মেয়রের পক্ষে প্রধান অতিথি ছিলেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রিয় কমিটির সাবেক বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট চন্দন তালুকদার।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কাউন্সিলর ছালেহ আহমদ চৌধুরী, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কউন্সিলর নিলু নাগ, প্রকৌশলী বিজয় কিষান চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর পুজা উদযাপন কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক লায়ন আশিষ ভট্টাচার্য, অধ্যাপক অর্পন কান্তি ব্যানার্জি,সুমন দেবনাথ, রত্মাকর দাশ টুনু।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুজিত দাশ।

.

প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন পরিষদের অর্থ সম্পাদক নিখিল কুমার নাথ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক প্রকাশ দাশ অসিত, হিল্লোল সেন উজ্জল, মিথুন মল্লিক, সজল দত্ত, পতেঙ্গা থানার সভাপতি সৈকত মহাজন সাজু, সাধারণ সম্পাদক সুমন দেব, ইপিজেড থানার সভাপতি শীমুল কুমার শীল, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কান্তি শীল, সিবিচ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ওয়াহিদুল আলম। এছাড়াও আলোচনা করেন মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ ও থানা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহফুজুল হক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, নির্বাহী প্রকৌশলী অসিম বড়য়া, ঝুলন কান্তি দাশ,উপসচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম, সহকারী প্রকৌশলী আবুল হাশেম সহ অন্যরা।

অনুষ্ঠানে মন্ডপ ভিত্তিক পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।