অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বিয়ের সাত মাসের মাথায় লাশ হয়ে ফিরলো শান্তা নাগ

0
বিয়ের পিড়িঁতে শান্তা নাগ।

লাল টুকটুকে শাড়ি পড়ে, হাতে মেহেদীর রং এ হাত রাঙ্গিয়ে নতুন জীবন গড়তে শশুর বাড়িতে গিয়েছিল শান্তা নাগকে কিন্তু বিয়ের সাত মাসের মাথায় তাকে ফিরতে হল লাশ হয়ে।

জেলার মিরসরাই উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ছোট কমলদহ এলাকার সঞ্জয় নাগের মেয়ে শান্তা নাগের (১৮) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে আজ ১ অক্টোবর রবিবার সকালে।

সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের টেরিয়াইল এলাকার শ্বশুর বাড়ি থেকে শান্তা নাগ ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী সাজুকে আটক করেছে পুলিশ।

স্বামীর সাথে শান্তা নাগ।

শান্তার পরিবারের দাবী তার মেয়েকে শশুর বাড়ীর লোকজন নির্যাতন চালিয়ে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। অপরদিকে শশুর পরিবারের দাবী শান্তা নাগ নিজেই ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।

পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মাত্র ৭ মাস আগে মিরসরাই উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ছোট কমলদহ এলাকার সঞ্জয় নাগের মেয়ে শান্তা নাগের সঙ্গে বিয়ে হয় পাশের উপজেলা সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের টেরিয়াইল এলাকার সাজুর সঙ্গে। বিভিন্ন কারণে শ্বশুরবাড়ির লোকজন শান্তাকে নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ তার বাবা মায়ের।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শান্তার স্বামী সাজুকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যাচ্ছে।

রবিবার সকালে শান্তা আত্মহত্যা করেছে এমন খবর পেয়ে শান্তার মা বাবা ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পান মেয়ের মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে শান্তার স্বামী সাজুকে গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান জানান, আমরা ঝুলন্ত অবস্থায় শান্তা নাগ নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছি। শান্তা নাগের বাবা মা বলছেন তাকে হত্যা করে মরদেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছেন শান্তা আত্মহত্যা করেছেন। আমরা আসল ঘটনা নিশ্চিত হওয়ার জন্য শান্তার মরদেহ চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মূল ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারবো।