অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

৬ অক্টোবর লালদীঘিতে হেফাজতের সমাবেশ সফল করুন

0
.

মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধ, বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ, বার্মিজ পণ্য বর্জন, তাদের সাথে সকল প্রকার কূটনৈতিক সম্পর্ক ত্যাগ, চলমান গণহত্যা বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নাগরিক অধিকার দিয়ে স্বদেশে ফেরত নেওয়ার দাবিতে আগামী ৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম লালদীঘি ময়দানে মহাসমাবেশ সফল করার আহবান জানিয়েছেন হেফাজতে েইসলামীর আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী ও মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী।

রবিবার এক যুক্তবিবৃতিতে তারা বলেন, দেশের সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম, ধর্মপ্রাণ মানুষ সর্বোপরি দলমত নির্বিশেষে সর্বশ্রেণীর বিবেকবান মানুষকে আগামী ৬ অক্টোবর স্বতঃস্ফূর্তভাবে লালদীঘির সমাবেশে যোগদানের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

মানবতাবোধশূন্য অশুভ শক্তি মগদস্যুদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী মানবতার আওয়াজ বুলন্দ করতে হবে। হাজার হাজার মানুষের ওপর অব্যাহত নৃশংসতা এখনই বন্ধ করতে। গণমানুষের ব্যাপক জাগরণ গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশ সরকারসহ বিশ্বের প্রতিটি দেশকে মিয়ানমার সরকার ও বার্মিজ সন্ত্রাসীদের গণহত্যার বিরুদ্ধে বাস্তব কার্যকর পদক্ষেপ করতে হবে। 

বিবৃতিতে হেফাজত আমীর ও মহাসচিব বলেন, আমাদের ঘরের পাশে আরাকান রাজ্যের নিরীহ, নিরস্ত্র ও বেসামরিক মানুষকে প্রতিদিন পশুর মতো জবাই করে হত্যা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর মিয়ানমার সরকার ও সংখ্যাগরিষ্ঠ সন্ত্রাসী বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর সম্মিলিত ফ্যাসিবাদী জুলুম ও রাষ্ট্রীয় গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে। নিরীহ রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি আরাকানের হিন্দুদের ওপরও সম্প্রতি হামলা হয়েছে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের নৃশংসভাবে হত্যা করে শরীর টুকরো টুকরো করে নাফ নদীসহ খাল, বিল, জলাশয়ে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। অসংখ্য মুসলিম মা বোনেরা ধর্ষণ, গুম ও নির্মম হত্যার শিকার হচ্ছেন। নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও হত্যাকা- থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। চীন, রাশিয়া ও ভারত মিয়ানমার সরকারকে নির্লজ্জভাবে সমর্থন দিয়েছে। ইহুদীবাদী ইসরাঈল অস্ত্র ও সমর প্রশিক্ষক সরবরাহ করছে। এ থেকেই বুঝা যায় এটা শুধু ভূরাজনৈতিক সমস্যা নয়, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র।

আজকে যারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে টালবাহানা করছেন ও নেতিবাচক তত্ত্বকথা ঝাড়ছেন তাদের মনে রাখা উচিত, রোহিঙ্গাদের পরবর্তী বাংলাদেশ ও এতদঞ্চলের মুসলমানদের ওপর একই ধরনের পরিস্থিতি আসতে পারে।

দেশকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষার জন্য সর্বস্তরের মানুষকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণহত্যা বন্ধের আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে। কাজেই আগামী ৬ অক্টোবরের সমাবেশ সফল করার প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও প্রত্যেক বিবেকবান মানুষের মানবিক কর্তব্য।

প্রেসবিজ্ঞপ্তি.