অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

পুলিশ কমিশনার কার্যালয় ঘেরাও করবে ছাত্রলীগ

0
.

সংগঠনের সহ-সম্পাদক সুদিপ্ত বিশ্বাস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পুলিশ কমিশনার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচী দিয়েছে মহানগর ছাত্রলীগ। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খুনের জন্য দায়ী প্রধান ব্যক্তিসহ খুনে অংশগ্রহণ করা সকলকে গ্রেফতার করা না হলে সিএমপি কমিশনার কার্যালয় ঘেরাও করার এ আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন মহানগর ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

আজ মঙ্গলবার বিকালে নগরীর শহীদ মিনার পাদদেশে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারন সম্পাদক নুরুল আজিম রনির পরিচালনায় বক্তারা বলেন, আগামী ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিলাম। পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী দাবী করছি, হত্যার নেপথ্যে কাজ করা খুনী চক্রের মূল হোতাকে গ্রেফতার করুন। কোন তালবাহানা সহ্য করা হবেনা। চট্টগ্রামকে ছাত্রলীগের লাশের হিমাগার বানানোর পায়াতারা করতে যে ৫ জন কাউন্সিলর খুনীর পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন তা প্রত্যাহার করতে হবে। নয়তো ঐ ৫ কাউন্সিলর সভা সমাবেশে লাঞ্চিত হলে তার দায় নেবে না ছাত্রলীগ।

লাশের উপর দাড়িয়ে কাউকে আর রাজনীতি করতে দেয়া হবে না। ছাত্রলীগ ভাইদের যদি নিজের সন্তান মনে করতে না পারেন তবে রাজনীতি ছেড়ে চলে যান। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগে রক্তচুষা নেতার প্রয়োজন নেই। ফেসবুকে সমালোচনা করার কারনে যদি সুদিপ্তের মত শান্তিপ্রিয় একজন তুখোর ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা করা হয় এবং হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ করতে অপরাজনীতি করা হয় তবে আমরাও আমাদের জীবন শংকায় ভুগছি।

সমাবেশে চট্টগ্রমে নতুন কিলিং স্কোয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, পুলিশ ঘটনার মোটিভ, নির্দেশদাতা এবং খুনীচক্র কে চিন্থিত করেছে কিন্তু গ্রেফতার করছেনা খুনিরা যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে। খুনিদের আটকে অভিযান চলছে পুলিশের এ বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে ছাত্রলীগের নেতারা বলেন, ‘নগর আওয়ামী লীগের অসুস্থ একজন শীর্ষ নেতার বেডরুমের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করলে পুলিশের বক্তব্য মিথ্যা প্রমাণ হয়ে যাবে।

.

এসময় বক্তারা বলেন একজন উপ-পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে আউটার স্টেডিয়ামে ছাত্রলীগের নেতাদের উপর গুলি করা হয়েছিলো। সে ঘটনায় পুলিশ বাদী মামলায় আসামী হিসাবে নাম উল্লেখ থাকাতে অনেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী মানবতার জীবনযাপন করছে এখনো। সিজেকেএসের পক্ষ থেকে আমাদের বিরুদ্ধে বাঁশ চুরি, বালতি চুরির মামলা দেওয়া হয়েছিল, যা এখনো সুরাহা করেনি সিজেকেএস। চট্টগ্রামের আওয়ামী রাজনীতি আজ হিংস্র শকুনের থাবায় পড়েছে। এ থেকে মুক্ত না করে ঘরে ফিরে যাবো না।

দিয়াজ, সোহেল, মেহেদী হাসান বাদলের হত্যাকাণ্ডের পর নতুন অপরাজনীতির সংযোজন সুদিপ্ত বিশ্বাস। খুনিকে আটক না করে পরিকল্পনা মোতাবেক ঘটনা ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতে খুনের বিপক্ষে করা বিক্ষোভ মিছিল থেকে আটক করা হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহিম জিল্লুকে। যিনি বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে এম এ লতিফের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুইটি মামলার বাদী।

সমাবেশে এসময় একাত্মতা পোষণ করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাবেক নেতৃবৃন্দ হাসান মনসুর, মেজবাহ উদ্দিন মোরশেদ, হাজী মো: সেলিম, সঞ্চয় ভৌমিক কনকন, সরফরাজ মাসুম, সাইফুল্লাহ আনছারী, হাবিবুর রহমান তারেক, কাজী হাসান রাজন, রাকিবুল আলম মাহি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ইয়াছিন আরফাত কচি, আরিফুজ্জামান আরিফ, ইরফানুল আলম জিকু, রাজেশ বড়ুয়া, আবদুর রহিম শামীম, আমিনুল করিম, আব্দুল্লাহ আল জোবাইর হিমু, বাবর উদ্দিন সাগর।

এসময় বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি তালেব আলী, ফারুক ইসলাম, নাজমুল হাসান রুমি, একরামুল হক রাসেল, নাঈম রনি, নোমান চৌধুরী, আ.ফ.ম সাইফুদ্দিন, সৌমেন বড়ুয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, রনি মির্জা, অমিতাভ বসু, সুজন বর্মন, গোলাম সাদমানি জনি, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী রনি, খোরশেদ আলম মানিক প্রমুখ।

সুত্রঃ প্রেসবিজ্ঞপ্তি