অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চবিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫

0
.

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আর্জেন্টিনার খেলা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জের ধরে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।

বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের টিভি রুমে এ ঘটনার সুত্রপাত হয়। পরে কথাকাটাকাটির ঘটনাটি সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ ঘটনায় আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।

সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া দুটি পক্ষ হল-শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন ও সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন সুমনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। পক্ষটিই নগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারি হিসেবে পরিচিত।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষেও শিক্ষার্থী আহাদ, সংস্কৃত বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষেও শিক্ষার্থী অমিত ও প্রান্ত, আরবী বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান এবং সংস্কৃত বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নয়ন। এদের মধ্যে আহাদ, অমিত ও শান্ত সহ-সভাপতি সুমনের অনুসারী এবং পরের ইমরান ও নয়ন সাধারণ সম্পাদক সুজনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের টিভি রুমে আর্জেন্টিনার খেলা নিয়ে দুই পক্ষের কয়েকজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি ঘটনা ঘটে। এর জেরে উভয় পক্ষই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সহ কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় হলের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশিও চালানো হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।

জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝি কারণে জুনিয়রদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছে। আমরা বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছি। তবে এটি গ্রুপ ভিত্তিক কোনো ঝামেলা নয়।’

অন্য পক্ষের নেতা শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সহ-সম্পাদক হাসান উদ্দিন বলেন, ‘খেলা দেখা নিয়ে জুনিয়রদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। আমরা সিনিয়ররা বসে বিষয়টি মিমাংসা করেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরবর্তীতে কেউ যদি ঝামেলার লিপ্ত হয়, সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন, ‘মারামারি খরর শুনে আমার ঘটনাস্থলে এসেছি। হলের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে