অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সুদীপ্ত খুনঃ লালখানবাজার পরিকল্পনাকারীদের গ্রেফতার করুন

1
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখছেন, নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনি।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদিপ্ত বিশ্বাস হত্যাকান্ডে জড়িত গডফাদারদের চিহিৃত করে গ্রেফতারের দাবীতে ছাত্রলীগের পূর্ব ঘোষিত পুলিশ কমিশনার কার্যালয়  ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়নি। ঘেরাও থেকে পিছিয়ে এসে ছাত্রলীগ নগরীর লালদিঘী পাড়ের জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

আজ রবিবার দুপুরে মহানগর ছাত্রলীগের এ অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ সুদিপ্ত বিশ্বাস হত্যাকান্ডের পরিকল্পনাকারীদের গ্রেফতারের জোর দাবী জানিয়েছেন।

ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমুর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক নুরুল আজিম রনির পরিচালনায় অবস্থান কর্মসূচী চলাকালে বক্তারা বলেন, সুদিপ্ত বিশ্বাস হত্যাকান্ডের কুশীলবরা প্রকাশ্যে মিটিং সমাবেশ করে হুমকি দিচ্ছে। ঘটনার এক সপ্তাহ পর একজন মাত্র কিলার গ্রেফতার ছাড়া কোন অগ্রগতি নেই এ আলোচিত হত্যাকান্ডের।

সুদিপ্তের হত্যার পর থেকে আমরা দাবী করে এসেছিলাম লালখান বাজার এলাকায় কথিত এক গডফাদার এ খুনের পরিকল্পনা করেছে। সময়ের পরিক্রমায় আজ বিষয়টি পরিস্কার হয়ে এসেছে। আমরা দাবী করছি লালখান বাজার এলাকায় বসে যারা এ খুনের পরিকল্পনা করেছে তাদের গ্রেফতার করুন। খুনের আগের রাতে যে জনপ্রতিনিধির বিল্ডিংয়ে খুনিরা রাতযাপন করেছে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করুন।

পুলিশের উপর ছাত্রলীগের আস্থা অটুট থাকুক এ আশাবাদ ব্যক্ত করে বক্তারা বলেন, আমরা জানি চট্টগ্রামের রাজনীতির একটা উচ্ছিষ্ট অংশ এ খুনের ঘটনায় খুনীদের আড়াল করতে পুলিশকে রীতিমত চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে। আমরা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা আপনাদের সন্তানের সমতুল্য। একজন সন্তানহারা পিতা যেমন খুনিদের সাথে আপোষ করতে পারেনা ঠিক একই ভাবে একজন পুলিশ হিসাবে আপনারা কোন সন্ত্রাসীরা হুমকিতে কাবু হতে পারেন না।

বক্তারা এসময় বলেন, লালখান বাজার এলাকার বৈঠকে খুনের পরিকল্পনায় অংশ নেয়া প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠির হাতে অতীতেও প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা সেকান্দার হায়াত খান চৌধুরী আক্রান্ত হয়েছিলো। এই অপশক্তিধররা অল্পদিন আগে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে ইঞ্জিনিয়ার ইনিষ্টিটিউটে অপমান করার চেষ্টা করেছিল। নগরীর বহু গনমাধ্যমের সংবাদকর্মী বিভিন্ন সময় একই লোকগুলোর হাতে অপদস্থ, অপমান হওয়ার তথ্য সবার কাছে জানা আছে।

এই অপশক্তিকে রুখে দিতে পুলিশের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ বলেন, তারা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীকে হত্যার পর আত্মহত্যা প্রচার করেছিল, মেহেদী হাসান বাদলকে হত্যা করে গুপ্তহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিল, নাসিম আহমেদ সোহেলকে হত্যা করে খুনীদের পালিয়ে যাওয়ার সহায়তা হিসাবে নগরীতে ভাংচুর চালিয়ে প্রিমিয়ার ভার্সিটির বরেণ্য উপাচার্য ড:অনুপম সেনের উপর দায় চাপাতে চেয়েছিলো। আর বর্তমানে সুদিপ্ত বিশ্বাসকে হত্যা করে তা রাজনৈতিক রূপদান করার জন্য কয়েকজন কাউন্সিলর দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল যেন খুনের নেপথ্যের গডফাদারকে আটক করা না হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, খুনিরা কত ক্ষমতাশালী তা আমরা দেখতে চায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ খুনের ইন্ধনদাতাদের গ্রেফতার করার নির্দেশ গিয়েছিলো যা কার্যকর হয়নি। অনতিবিলম্বে লালখানবাজার এলাকার বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সকল গডফাদার ও খুনে অংশ নেয়া কিলার বাহিনীকে আটক করতে হবে। নয়ত আরো কঠোর ও বৃহৎ কর্মসূচী হিসাবে নগরীর লালদিঘী ময়দানে বিশাল ছাত্রসমাবেশের ডাক দেওয়ার পাশাপাশি গনপ্রতিরোধের হুমকি দেওয়া হয় সমাবেশ থেকে। এসময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুর রহিম জিল্লুকে গ্রেফতার করে ৬মাস আগের একটি মামলায় ফাঁসানোর তীব্র নিন্দা জানান বক্তারা।

এ সময় বক্তব্য রাখেন- ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের পক্ষে হাবিবুর রহমান তারেক, আজিজুর রহমান, ইলিয়াস উদ্দীন, মেজবাহ উদ্দীন মোরশেদ, ফরহাদুল ইসলাম রিংটু, সাইফুদ্দীন আনসারি, আবু সাঈদ সুমন, মোরশেদুল আলম রাসেল; ছাত্রলীগের বর্তমান সদস্য রাজেশ বড়ুয়া, ইয়াসিন আরাফাত কচি, রুমেল বড়ুয়া রাহুল, আব্দুর রহিম শামীম, আবদুল্লাহ জুবায়ের হিমু; নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান রুমি, একরামুল হক রাসেল, নোমান চৌধুরী, মাঈনুল হাসান চৌধুরী শিমুল, জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, শাহীন মোল্লা; যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর,রনি মির্জা, গোলাম ছামদানী জনি, অমিতাভ চৌধুরী বাবু, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য খোরশেদ আলম মানিক, আমির হামজা, আবু তারেক রনি, কবির আহম্মদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মনির আহম্মদ, কাইছার মাহমুদ রাজু, রাহুল দাশ, মোস্তফা কামাল, মিজানুর রহমান মিজান, আশরাফ উদ্দীন টিটু, মিয়া মোহাম্মদ জুলফিকার, আবুল মনসুর টিটু, মিনহাজুল আবেদিন, আসাদুজ্জামান জেবিন, আবু সালেহ রিমন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর ছাত্রলীগের সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, ইসমাইল হোসেন বাতেন, আরাফাত রুবেল, মোশারাফুল হক পাভেল; মহানগর ছাত্রলীগ নেতা বিকাশ দাশ, শহীদুল ইসলাম শহিদ,ছৈয়দ আনিসুর রহমান, তোফায়েল আহমেদ মামুন, আকবর হোসেন রাজন।