অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মেঘাপ্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ২০৪০ সাল পর্যন্ত পানির চাহিদা পূরণ হবে

1
.

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ. কে এম ফজলুল্লাহ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাদ্দকৃত নতুন মেঘা প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দৈনিক ৯ কোটি গ্যালন পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। ফলে ২০৪০ সাল পর্যন্ত নগরবাসীর মধ্যে শতভাগ পানির চাহিদা পূরণ করা যাবে। তিনি আজ মঙ্গলবার সকালে পানি সমস্যা নিরসনে উপায় অন্বেষণের জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে এক বৈঠকে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরো জানান যে, আগামী মাস হতে নতুন সঞ্চালনের লাইনের কাজ সমাপ্ত হলে চট্টগ্রাম নগরীতে কোন লিকেজ থাকবে না।

চট্টগ্রাম মহানগরীতে পানি সংকট সমস্যা দূরীকরণে প্রতিকার চেয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী চিঠির প্রেক্ষিতে মহানগর আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে চট্টগ্রাম ওয়াসার এম.ডি ছাড়াও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এই বৈঠকে প্রতিনিধি দলের নেতৃবৃন্দগণ চট্টগ্রাম মহানগরীতে পানি সমস্যা সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বেশকিছু মেঘা প্রকল্প হাতে নেওয়ার পরও চট্টগ্রাম নগরীর ব্যাপক এলাকায় নিয়মিত পানি সরবরাহে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া তাদের পরিকল্পিত সুয়ারেজ সিস্টেমের অভাবে চট্টগ্রাম নগরীতে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। তারা আরো বলেন, অনেক জায়গায় ওয়াসার সরবরাহ পানি দুর্গন্ধময় ও ব্যবহারে অনুপযোগী। তাছাড়া অনেক এলাকায় পানি সরবরাহ অনিয়মিত হলেও বিল আদায় করা হচ্ছে। এমনকি অনাদেয় বিলের কারণে গ্রাহকদের পানির সংযোগ কেটে দেওয়া হচ্ছে। বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরীতে পানির জন্য নগরবাসীর বিদ্যমান পানি সংকট অবিলম্বে সুরাহা করা না হলে এ সমস্যা প্রকটতর হয়ে উঠবে। তাই এখনই এই সমস্যার সমাধান কাম্য। নেতৃবৃন্দ এও অভিযোগ করেন যে, চট্টগ্রাম ওয়াসার কতিপয় স্বার্থান্বেষী কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারণে ওয়াসার গ্রাহকরা কষ্ট পাচ্ছেন। এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেয়ার জন্য নেতৃবৃন্দ ওয়াসা ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অনুরোধ জানান।

চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি এ কে এম ফজলুল্লাহ জানান যে, তাদের মাস্টার প্ল্যানে স্যুয়ারেজ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি এই প্রকল্পের দীর্ঘ সূত্রিতার কারণ উল্লেখ করে বলেন, আমরা সচরাচর দেখে আসছি নালা নর্দমা ও খালের মাধ্যমে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা সিটি কর্পোরেশন করে থাকে। কিন্তু দেখা গেছে যে, অধিকাংশ নালা নদমা ও খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে। এর ফলে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা আরো বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। তিনি নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, ওয়াসা কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতি এবং সেবা কার্যক্রমে ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে তা আমাকে অবহিত করা হলে আমি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিবো। তিনি এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রেরিত চিঠির জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এই চিঠিটি আমাদের কাজকর্মের প্রেরণা হিসেবে তাগিদ দিয়ে যাবে। আমরা আশা করি আগামীতেও এ ধরনের পরামর্শ ও গঠনমূলক সমালোচনা আমরা প্রত্যাশা করি।

এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফরুক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বাবু চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী মো: জহুরুল হক, উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশাসন গোলাম হোসেন, উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশল রতন কুমার সরকার, সচিব মো: শামীম সোহেল, বোর্ড সদস্য জাফর আহমেদ সাদেক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী ইয়াকুব সিরাজ উদ দৌলা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাকসুদ আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল আবছার, ওয়াসার ম্যাজিষ্ট্রেট হিল্লোল বিশ্বাস, নির্বাহী প্রকৌশলী মো: নুরুল আমিন, রেজাউল হাসান চৌধুরী, মো: আজিজুর রহমান, আবদুরর্ উফ, মো: মাহবুবুল আলম, প্রধান বিচাররক্ষণ কর্মককর্তা জাকির হোসেন ভুইয়া, কর্মাশিয়াল ম্যানেজার ড. পীযুষ দত্ত, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, উপ সচিব জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সহকারী সচিব মো: নাজিম উদ্দিন, মো: বাবুল আলম, জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী নূর জাহান লীলা, প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ চট্টগ্রাম ওয়াসা এমডিকে পানি সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত মেঘাপ্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন।