অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“মিতুকে গুলি করে ওয়াসিম ব্যাকআপ টিমে ছিল আনোয়ার”

0
সিএমপি কমিশনার-
সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।

সিএমপি পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃত ওয়াসিম এবং আনোয়ার নামে দুইজনই মিতু হত্যার মূল আসামী দাবী করে পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার বলেছেন তারা পেশাদার খুনি। তারা টার্গেট করে পরিকল্পিত ভাবে পুলিশ পত্মী মাহমুদা খানম (মিতু)কে হত্যা করেছে।

তাদের মধ্যে ওয়াসিম মোটর সাইকেলে ছিল, সে সরাসরি মিতুকে গুলি করেছে। আর আনোয়ার ব্যাকআপ টিমের সদস্য ছিল বলে দাবী করেন কমিশনার। গ্রেফতারকৃত দুজনের বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায়।

রবিবার বেলা ৩টায় সিএমপিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

গ্রেফতারকৃত দুজন পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে দাবী করে পুলিশ কমিশনার বলেন তারা হত্যাকাণ্ডে কথা স্বীকার করে স্বেচ্ছায় জবানবন্ধি দিতে রাজি হয়েছে। আজ তােদর আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হচ্ছে।

কেন, কি কারণে তারা মিতুকে হত্যা করে বা কারা এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সাংবাদিকদের এমন অসংখ্য প্রশ্নের জবাব কৌশলে এডিয়ে যান পুলিশ কমিশনার ইকবাল।

গ্রেফতারকৃতরা কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত কিনা এ প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, খুনিরা পেশাদার। তাদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই।

মিতু হত্যার সাথে জঙ্গিরা সংশ্লিষ্ট পুলিশ শুরু থেকে এমন দাবী করে আসলেও এখন সে দাবী থেকে আপনারা সরে এসেছেন এমন এক প্রশ্নে জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন আমরা আমাদের কোন বক্তব্য থেকে সরে আসি নি। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব কিছু বলা যাচ্ছে না।

মিতুর স্বামী পুলিশের এসপি বাবুল আক্তারকে নজর বন্দি রাখা হয়নি উল্লেখ্য করে কমিশনার বলেন, তার বাসায় নিরাপত্তার জন্য পুলিশ দেয়া হয়েছে।

বাদী হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে এবং পরে তিনি বাসায় চলে যান বলে দাবী করেন পুলিশের এ শীর্ষ কর্মকর্তা।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মধ্যরাতে কেন তুলে নিয়ে যাওয়া হল এবং এরপর কেন তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন নি স্বজনরা এসব প্রশ্নের সন্তুষজনক জবাব দেননি সিএমপি কমিশনার।

এদিকে পুলিশ অনুষ্ঠানিক ভাবে দুজনের গ্রেফতারের কথা স্বীকার করলেও বিভিন্ন সুত্র থেকে পাওয়া তথ্যে জানাগেছে এক নারীসহ পুলিশ ৫ জনকে আটক করেছে আরো ৪ দিন আগে। তাদেরকে রাখা হয়েছে দামপাড়া পুলিশ লাইনে।

সংবাদ সম্মেলনে মামলা সংক্রান্ত নগর গোয়েন্দা এবং সিএমপি’র উদ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।