অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কর্ণফুলী যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম সহ আহত ১০

0
আহত যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম হৃদয়।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ডাঙ্গার চর ইউনিয়নের (ঘাটঘর) এলাকায় স্থানীয় ইউপি মেম্বার বদিউল আলম বদি’র নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় সাবেক ইউপি সদস্য উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম হৃদয় সহ ১০জন আহত হয়েছেন।

বুধবার রাত্র আনুমানিক ৯টার দিকে সামাজিক সংগঠন কর্ণফুলী এন্টারপ্রাইজে ঘাটঘরস্থ অফিসে বসে সাউথ আফ্রিকার সাথে বাংলাদেশে টিমের ক্রিকেট খেলা দেখার সময় অতর্কিত এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এই ঘটনায় সিরাজুল ইসলাম হৃদয় ছাড়াও আহত হয়েছেন কর্ণফুলী এন্টারপ্রাইজের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্বাস উদ্দিন, সদস্য আনসার আলী, হাফেজ আহম্মদ, মনির, সাদ্দাম, মাহবুব, রহমান, খোকন, শাহবুদ্দিন আহত হন। আহতদের সবাইকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, হামলাকারী বর্তমান ইউপি মেম্বার বদিউল আলম বদি এবং হামলার শিকার সিরাজুল ইসলাম হৃদয় উভয়ই আওয়ামী লীগ সমর্থিত। তবে এলাকার অধিপত্য বিস্তার এবং বর্তমান মেম্বারের অবৈধ ব্যবসা এবং চোরাচালাস সহ নদী পথে অনৈতিক ব্যবসা বাধা দেয়ায় মূলত সিরাজুল ইসলামের সাথে বদির বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিগত ইউপি নির্বাচনে বদির কাছে হৃদয় সামন্য ভোটের ব্যবধানে হেরে ছিলেন।

আহতদের কয়েকজন।

হামলায় আহত কর্ণফুলী এন্টারপ্রাইজের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্বাস বলেন, পূর্ব থেকেই বর্তমান মেম্বার বদি এলাকায় ঘাটঘরের আধিপত্যবিস্তার নিতে চান। আমরা স্বদল বলে প্রতিরোধ করায় সে এবং তার বাহিনী আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে এই হামলা করেছে। বদি মেম্বার আওয়ামীলীগ বা যুবলীগের কেউ নয়। মূলত দলের নাম ভাঙ্গিয়া এলাকায় আধিপত্যবিস্তার করতেই লোকমান, ফোরখান, হারুণ, ওসমান, বাবুল, জয়নাল, তালেব সহ আরো ৮/৯জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের ব্যবসায়ীক অফিসে হামলা চালায়।

ঘটনার পরেই রাতে সাড়ে ১০টার দিকে কর্ণফুলী থানা পুলিশ’র এস আই রেজাউল করিম(রেজা)র নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেছে।

ঘটনার ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম (রফিক) জানান, বদি মেম্বার যদি সত্যিই দোষ করে থাকেন তাইলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে রাতেও পুলিশ কে বলেছি আর এখন আপনাদের সংবাদ মাধ্যমে জানাচ্ছি। সেই আমার পরিষদের মেম্বার হলে অন্যায় করলে কোন ছাড় নেই। তবে মনে হচ্ছে তাদের মথ্যে কোন ব্যক্তিগত ব্যবসায়ীক দন্ধের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। আমি রাতেই পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থ পরিদর্শন করেছি। এখানে বেশ কিছু ভাঙ্গচুর হবার কথা এলাকাবাসী মারফতে জেনেছি।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হাজী আমীর আহম্মদ বলেন, তারা দুইজনেই আমাদের দলের লোক এবং একজন সাবেক মেম্বার আর অভিযুক্ত বদি বর্তমান মেম্বার। বেশ কয়েকভার তাদের সাথে ব্যবসার জন্য ঘাটঘরের আধিপত্যবিস্তারকে কেন্দ্র বাদ প্রতিবাদ হলে আমরা মিমাংসা করেছি। আর এই ঘটনাটি সেই ব্যবসাকে কেন্দ্র ঘটেছে বলে এলাকার স্থায়ী লোকদের মাধ্যমে জেনেছি। তবে এ ঘটনার সাথে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নাই। এছাড়া এলাকার শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে এই ধরনের সন্ত্রাসী হামলায় দোষীদের বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ নিতে ওসি কর্নফলীকে অনুরোধ জানিয়েছি।

এদিকে এ হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘাটঘর এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানান কর্ণফুলী থানার ডিউটি অফিসার।