অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বাঙ্গালী যুবকের সাহসিকতায় গণধর্ষণের হাত থেকে বাঁচলেন ইতালিয়ান নারী

3
.

ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিক আলমগীর হোসেনের সাহসিকতায় ২৫ দুর্বৃত্তের গণধর্ষণের হাত থেকে বেঁচে গেলেন এক নারী। বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে এগারোটায় ঘটনাটি ঘটে ইতালির ফ্লোরেন্সে।

২৫ বছর বয়সী আলোকচিত্রী গাইয়া গুয়ারনোত্তা গণধর্ষণের হাত থেকে তাকে বাঁচানোর নায়ক আলমগীরের সাহসিকতার কথা লিখেছেন ফেইসবুকে।

আলমগীরের ছবিসহ করা ওই পোস্টে গুয়ারনোত্তা লিখেছেন, ‘আমি রাত সাড়ে এগারোটায় একা একা হাঁটছিলাম রাস্তায়। আমি ফ্লোরেন্স ভালোবাসি, হাঁটতেও ভালোবাসি। কিন্তু এরপরেই দুঃস্বপ্নের শুরু।’

গুয়ারনোত্তার ভাষ্যে, বিরাট একদল মাতাল পুরুষ এই সময় ঘিরে ধরে তাকে। অশ্রাব্য ভাষায় তাকে ডাকার পাশাপাশি গুয়ারনোত্তাকে তারা সরাসরি কুপ্রস্তাবও দিয়ে বসে।

‘ওরা বলছিল, আমাদের সঙ্গে এসো। চলো আমরা ফুর্তি করি। ১ জনের বিপরীতে ২৫ জন! তোমার রাতটা ভালো কাটবে,’ ধর্ষণের চেষ্টাকারীরা এভাবেই তাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছিলো বলে জানান ওই নারী।

এরপর তারা গুয়ারনোত্তাকে ঘিরে ধরে এবং তার হাত ধরে টানতে থাকে। ওই সময় পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন আলমগীর। তখন তিনিই ২৫ জনের ওই দলকে ভর্ৎসনা করে তাড়িয়ে দেন ঘটনাস্থল থেকে।

শুধু তাই নয়, গুয়ারনোত্তাকে শান্ত করতে তাকে একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান তিনি। তার চোখ মুছতে একটি রুমাল দেন তিনি। উপহার হিসেবে পেশায় ফুল বিক্রেতা আলমগীরের কাছ থেকে একটি গোলাপও পান তিনি।

আলগীরের উদ্দেশ্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে গুয়ারনোত্তা লিখেছেন, ‘তিনি যদি সেখানে সেদিন না থাকতেন তবে এই ঘটনা বর্ণনা দেওয়ার জন্য আমি বেঁচে থাকতাম না। আমি তাকে আমার একটা ছবি দিয়েছি, যাতে যে মেয়েটির জীবন তিনি বাঁচিয়েছেন, তার চেহারা তিনি সবসময় মনে রাখতে পারেন। হোসেন, আপনাকে ধন্যবাদ। কোনো কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা না করেই মানুষের উপকার করেন আপনার মতো মানুষেরা, একারণেই পৃথিবী এখনও টিকে আছে। আপনার চেহারা আমি কখনও ভুলবো না।’

৫৮ বছর বয়সী ফুল বিক্রেতা আলমগীর হোসেন ইতালিতে আছেন ২০০৫ সাল থেকে। তার সাহসিকতায় বেঁচে যাওয়া ওই নারী এখন অজ্ঞাত ওই ২৫ জনের দলের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সূত্র : দ্য ডেইলি মেইল

৩ মন্তব্য
  1. দময়ন্তী ইসলাম খান বলেছেন

    গুড বাংলাদেশি।

  2. Bahar Uddin বলেছেন

    ভাল কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে। ধন্যবাদ