স্ত্রী’র পরকিয়ার বলি মীরসরাইয়ের ফারুক
জেলার মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানার সোনাপাহাড় এলাকায় ওমর ফারুক খুন হওয়ার ঘটনায় তার স্ত্রী, শালিকা ও স্ত্রীর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার বিকেলে তাদের আটক করা হয়। ওমর ফারুকের স্ত্রীর একাধিক প্রেমের কারনেই ফারুককে তারা কৌশলে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন বলেও জানিয়েছেন পুলিশ।
এদিকে এঘটনায় নিহত ফারুকের ভাই ইব্রাহীম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর জানান, বিকেলে নিহত ফারুকের স্ত্রী জেসমিন আক্তার সোনিয়াসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। হত্যার বিষয়ে তারা স্বীকার করেছেন। আগামীকাল তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে-স্ত্রীর সাথে ফারুকের সম্পর্কের অবনতি হওয়ার পর তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার সোনিয়া মায়ের সাথে মাঈন উদ্দিন ফিলিং ষ্টেশনের পূর্ব পাশে ফকির সওদাগরের বাড়িতে ভাড়াতে থাকতো। এক পর্যায়ে ছোট বোনের প্রেমিকের সাথে সোনিয়া অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে আর পরিকল্পিত ভাবে স্বামীকে ছেলের কথা বলে বাসায় আসতে বলে এবং কথিত প্রেমিকসহ রাত একটার দিকে হত্যা করে লাশ বাড়ির বা্ইরে জঙ্গলে ফেলে দেয়।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্স জাহিদুুল কবির বলেন, ও তার প্রেমিক ছোট বোন সহ ঘুমের মধ্যে শ্বাসরোধ করে ফারুককে হত্যা করে,এবং আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য আজ শুক্রবার সকালে মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার বারৈইয়ার হাট উত্তর সোনা পাহাড় এলাকা থেকে ওমর ফারুক (৩৪) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ফারুক বারৈয়ারহাট পৌরসভার (উত্তর সোনা পাহাড়) মেহেদী নগর গ্রামে শুজাহুল হকের পুত্র বলে জানাগেছে। নিহত ফারুক বারৈয়ারহাটের রুহুল আমিন সওদাগরের কাপড়ের দোকানে চাকুরী করতো। তিনি মাঈন উদ্দিন ফিলিং ষ্টেশনের পূর্ব পাশে ভাড়া বাসায় থাকতো।
*মীরসরাইয়ের সোনাপাহাড়ে যুবক খুন
মরিচ ডালি দে ভিতরে
মাগির পাসি চাই