
নতুন উদ্বোধন হওয়া লাল সবুজের বিরতিহীন সোনার বাংলা ট্রেনে চড়ে দারুণ উচ্ছাস প্রকাশ করলেন ঢাকা থেকে আসা গৃহিনী নাজনীন আক্তার লোপা।
রবিবার সকালে নতুন এ ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর ষ্টেশন থেকে ছেড়ে দুপুর পৌনে ১টায় চট্টগ্রাম ষ্টেশনে পৌছে। এসময় একে একে যাত্রীরা নেমে আসেন। নতুন ট্রেনের যাত্রী হিসেবে অনুভূতি কেমন জানতে চাইতেই লোপা বলেন, ট্রেনে ঈদ করার জন্য আসতে পেরে খুব খুশি লাগছে। যাত্রাপথে কোনো সমস্যা হয়নি। তবে খাবারের দামটা একটু বেশি।

এর আগে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ভারতীয় ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ সহায়তায় মোট ২৭০টি কোচ দিয়ে ট্রেন পরিচালনা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অন্যান্য যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে করে আসতে পেরে যাত্রীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা গেলেও খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
আরেক যাত্রী চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ট্রেন ঠিক সময়ে ঢাকা থেকে ছেড়ে চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। যাত্রাপথে কোনো সমস্যা হয়নি। তবে খাবারের দাম বেশি রাখার অভিযোগ করে তিনি বলেন, দুইশ টাকার বিপরীতে একটি প্যাকেটে দেয়া হয়েছে একটি করে আপেল,জুস ও কেক।

রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) কর্তৃপক্ষ জানান, নতুন ট্রেন হিসেবে পুর্বাঞ্চল রেলওয়েতে যুক্ত হচ্ছে নতুন বিরতিহীন ট্রেন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস। এটি আজ রবিবার থেকে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে। এই ট্রেনে ১৬ বগিতে স্নিগ্ধা (শীতাতপ চেয়ার), শোভন চেয়ার, এসি বাথ মিলিয়ে ৭৪৬টি আসন রয়েছে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জানান, বিরতিহীন এ ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে পৌঁছতে সময় লাগবে ৫ ঘন্টা ৪০ মিনিট। শনিবার ছাড়া সপ্তাহের বাকী দিনগুলোতে এ ট্রেন নিয়মিত চলাচল করবে। তবে ঈদ উপলক্ষে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস শনিবারও চলাচল করবে।

প্রতিদিন সকাল ৭টায় সোনারবাংলা এক্সপ্রেস কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে।একই ট্রেন চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছাড়বে বিকাল ৫টায়, ঢাকা পৌঁছাবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে।
সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের ১৬টি বগির মধ্যে চারটি এসি চেয়ায়ের (স্নিগ্ধা) প্রতটিতে ৫৫ করে ২২০ আসন,সাতটি শোভন চেয়ারের বগিতে ৪২০ আসন, দুটি এসি বাথে ৩৩ করে ৬৬ আসন এবং দুটি খাবার গাড়ির সঙ্গে সংযুক্ত ৪০টি আসন রয়েছে। ট্রেনটিতে খাবার সরবরাহের দায়িত্বে থাকবে পর্যটন করপোরেশন।
লাল সবুজ রঙে রাঙানো সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের ১৬টি বগির মধ্যে চারটি এসি চেয়ায়ের (স্নিগ্ধা) প্রতিটিতে ৫৫টি করে ২২০ আসন, সাতটি শোভন চেয়ারের বগিতে ৪২০ আসন, দুটি এসি বাথে ৩৩ করে ৬৬ আসন এবং দুটি খাবার গাড়ির সঙ্গে সংযুক্ত ৪০টি আসন রয়েছে। এর বাইরে একটি পাওয়ার কার থাকছে ট্রেনটিতে। খাবার সরবরাহের দায়িত্বে থাকবে পর্যটন কর্পোরেশন। পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, গত বুধবার থেকে নতুন এই ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হতে হয়েছে।
You must log in to post a comment.