অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“আওয়ামী লীগ হলো আসল জঙ্গির দল” খালেদা

0
kz-1
বিএফইউজে’র ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন বেগম খালেদা জিয়া।

আওয়ামী লীগকে ‘জঙ্গি’ দল বলে আখ্যায়িত করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আমরা বলেছি জঙ্গি ধরেন, আমরা জঙ্গি ধরার পক্ষে। কিন্তু আওয়ামী লীগের সঙ্গে এই সব জঙ্গি। আসল জঙ্গির দল হলো আওয়ামী লীগ।’

তিনি বলেন, ‘এদের (আওয়ামী লীগ) কাছে দেশি-বিদেশি গোলাবারুদ ও অস্ত্র পাওয়া যায়। তাই এদের ধরলে সত্যিকার বিচার হবে, দেশে নিরাপত্তা ও শান্তি আসবে।’

সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবন মিলনায়তনে রবিবার বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে-একাংশ) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে- একাংশ) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি শওকত মাহমুদ।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বিচার বিভাগের ওপর থেকে মানুষের আস্থা উঠে গেছে। আওয়ামী লীগ বিচার বিভাগের নির্দেশ অমান্য করে একটার পর একটা কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিদিন সাদা পোশাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, ধরে নিয়ে ক্রসফায়ার দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি কোনো নেতাকে কোথাও কথা বলতে দিচ্ছে না। আজকে সকলের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সাঁড়াশি অভিযানে ১৫ হাজার নিরীহ সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে যার মধ্যে তিন হাজার বিএনপির নেতাকর্মী রয়েছে। তাদের মুক্তি দিন।’

‘অনির্বাচিত’ ক্ষমতায় তাই সারাদেশে চলছে লুটপাট আর দখল এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতীয় প্রেস ক্লাব পর্যন্ত দখল হয়ে গেছে। সাংবাদিকরাও সেখানে কিছু করতে পারে না। গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে এখন তারা (আওয়ামী লীগ) সবকিছু দখল করছে। নির্বাচন দেয় না তারা। নির্বাচন দিতেও ভয় পায়।’

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় বসে সরকার আজকে একের পর এক যে কাজ করছে তা বৈধতা নেই। তাদের যদি সামান্যতম সম্মান ও লজ্জাবোধ থাকতো তাহলে তারা ক্ষমতা ছেড়ে নির্বাচন দেওয়ার ব্যবস্থা করত।’

ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের আমলে নাইকো মামলা দেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে বিএনপি প্রধান বলেন, ‘এখনও আমাদের হয়রানি করে যাচ্ছে। নাইকোর সঙ্গে আমি জড়িত নই, হাসিনা জড়িত। হাসিনার নির্দেশে হয়েছে। তাই হাসিনার মামলা উঠে গেলে আমার মামলা কি করে চলে? হাসিনার মামলা উঠে গেলে আরও কারো মামলা থাকতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন নেই, আমরা ন্যায় বিচার পাচ্ছি না। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই। নিরপেক্ষ বিচার পাওয়া যায় না। যত ভাল আইনজীবী হউক না কেন ন্যায় বিচার পাওয়া যায় না।’

খালেদা জিয়ার সঙ্গে মূল মঞ্চে ইফতার মাহফিলে যোগ দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধূরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, নয়া দিগেন্তর সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, নিউজ টুডের সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন, সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, বাংলাদশে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে ইফতার মাহফিলে যোগ দেন- এম আবদুল্লাহ, কবি আবদুল হাই শিকদার, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।

ইফতার মাহফিলে আরও যোগ দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার প্রমুখ।

উল্লেখ, জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএফউইজে ও ডিইউজে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিল। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় ভেন্যু পরিবর্তন করা হয়।