অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চবিতে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে আটক দুই

0
.

চবি প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের অধীনে “বি” ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ। আবার ক্যাম্পাসের আবাসিক ছাত্রাবাস আব্দুর রব হল থেকে সন্দেহভাজন হিসাবে এক বহিরাগতকে আটক করা হয়।

শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান অনুষদের ৩০৬ নম্বর কক্ষ থেকে এবং শহীদ আব্দুর রব হলের ৪৩৯ নং কক্ষ থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃত শিক্ষার্থীর নাম শাহেদুল ইসলাম। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায়। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছে বলে দাবী করছে।

অন্যদিকে ক্যাম্পাসে আব্দুর রব হলে থেকে জাবেদ নামে এক বহিরাগতকে আটক করা হয়েছে। সে সন্দেহ জনক ভাবে হলে ঘুরাঘুরি করছিল। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। সে ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসেছিল বলে জানিয়েছে। তবে সে এসএসসি পরীক্ষায় পাশের পর পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছে বলে জানায় । তার পকেটে তিনটি মোবাইল ফোন এবং মানিব্যাগে ২৫০ টাকা পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শাহেদুল ইসলাম চবির জীব বিজ্ঞান অনুষদের ৩০৬ নম্বর কক্ষে “বি” ইউনিটের পরীক্ষা দিচ্ছিল। তার রোল নম্বর ২১২২৫১। পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত শিক্ষক উত্তরপত্রে স্বাক্ষর করার পর ইরেজার পেন দিয়ে তার রোল নম্বর মুছে ফেলে। পরে ওই উত্তর পত্রে ২৪২৬৬১ রোল নম্বরটি লিপিবদ্ধ করে। ঘটনাটি পরীক্ষা পর্যবেক্ষকের নজরে আসলে তাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয় কিন্তু সে সঠিক উত্তর দিতে পারে নি। তাই তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির হাতে সোপর্দ করা হয়।

এদিকে শাহেদুলের উত্তরপত্রে উল্লেখিত রোল নম্বর (২৪২৬৬১) পরীক্ষা দিচ্ছিল নগরীর ইস্পাহানি স্কুল এন্ড কলেজের ৩০৪ নম্বর কক্ষে। তার নাম শাহিন মিয়া। তবে শাহেদুলকে আটক করা সম্ভব হলেও শাহিনকে এখনো আটক করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর নিয়াজ মোরশেদ রিপন মুঠোফোনে জানান,“শাহেদুল ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। সে জীব বিজ্ঞান অনুষদের ৩০৬ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছিল। পরে তাকে হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।”
তিনি আরো বলেন, “শাহেদুল ইসলাম ও শাহিন মিয়া উভয় শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল করা হবে। তাদের সাথে আর কোন জালিয়াতি চক্র জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে।”