অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রাজধানীতে মা-ছেলে হত্যা, স্বামী ও তৃতীয় স্ত্রী রিমান্ডে

0
.

রাজধানীর কাকরাইলে মা ও ছেলেকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার গৃহকর্তা আবুল করিম ও তার তৃতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তার বিরুদ্ধে ছয়দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার তাদের ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এসময় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) আলী হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ছয়দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন রমনা থানা থেকে মামলাটির এজাহার আদালতে আসে। ঢাকা মহানগর হাকিম এজাহারটি গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

বুধবার (১ নভেম্বর ) সন্ধ্যায় কাকরাইলের আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম রোডের ৭৯/এ বাড়িতে খুন হন পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী আবুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার (৪৫) ও তার ছেলে সাজ্জাদুল করিম শাওন। শামসুন্নাহারের বড় দুই ছেলে বিদেশে থাকেন।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) নিহত শামসুন্নাহারের ভাই আশরাফ আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে নিহতের স্বামী আব্দুল করিম, করিমের তৃতীয় স্ত্রী শারমীন মুক্তা, মুক্তার ভাই জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে।

মুন্সীগঞ্জের শামসুন্নাহার ব্যবসায়ী করিমের প্রথম স্ত্রী। দ্বিতীয় স্ত্রী ফরিদার সঙ্গে করিমের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর তিনি চার বছর আগে মুক্তাকে বিয়ে করেন বলে পুলিশ জানায়।

গ্রোসারি ব্যবসা পাশাপাশি এফডিসিকেন্দ্রিক চলচ্চিত্রের প্রযোজনা ও পরিচালনায় যুক্ত করিমের বহুবিবাহের কারণে পারিবারিক জটিলতা থেকে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করছে পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের সময় করিম বাসায় ছিলেন না। তবে ঘটনার দিন রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় নিয়ে যায় রমনা থানা পুলিশ। আর তার তৃতীয় স্ত্রী সিনেমার অভিনয় শিল্পী মুক্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নয়া পল্টনের একটি বাসা থেকে বৃহস্পতিবার সকালে আটক করা হয়।