অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

পোস্ট মর্টেমের বাংলা নাম ময়না তদন্ত কেন ?

0

ময়না তদন্ত শুনলেই নাকে পচা গন্ধ, ভারী পরিবেশের ছবিটাই আমাদের মাথায় আসে। লাশ কাটা ঘরের পরিবেশ সাধারনত খুবই শান্ত থাকে। সেই রুমে টেবিল (ডোমের যাবতীয় কিছু জিনিস এখানে রাখা) আর কতগুলো,চেয়ার,কয়েকটা টুল ও মাথার উপর ফ্যান, ট্রলি বেড ছাড়া- এগুলাতেই লাশ রেখে কাটাকাটি হয়। ফ্রিজের মত দেখতে যেখানে লাশ সংরক্ষন করা হয় । পোস্টমর্টেম করার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটা হচ্ছে যথেষ্ট আলো বাতাসের ব্যাবস্থা থাকতে হবে।

আচ্ছা কখনো ভেবে দেখেছেন পোস্ট মর্টেমর বাংলা নাম ময়না তদন্ত কেন? আমরা সকলেই জানি যে, পোস্ট মর্টেম একটি অজানা কারণকে উদ্ঘাটন করে থাকে। অন্ধকার থেকে একটি ঘটনার কারণকে আলোতে নিয়ে আসে।

তাহলে পোস্ট মর্টেমের সঙ্গে ময়না পাখির মিল কোথায়? বিষয়টা হয়তো অনেকের কাছে তেমন গুরুত্ববহ নয় বা এ নিয়ে কেউ মাথাও ঘামায় না, তবে রহস্য উদঘাটনের নেশা থাকা উচিৎ।

শালিকের সাথে এরা অনেকটাই সম্পর্কিত। পাতি ময়না কথা বলা পাখি হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত। ময়না পাখি দেখতে মিশমিশে কালো এবং তার ঠোঁট হলুদ। বেশিরভাগ ময়নার স্বরতন্ত্র জটিল প্রকৃতির বলে তারা বিভিন্ন শব্দ বা কথা সহজে অনুকরণ করতে পারে। এই পাখি প্রায় তিন থেকে তেরো রকম ভাবে ডাকতে পারে। অন্ধকারে ময়না পাখিকে দেখা যায় না খালি চোখে।

অন্ধকারের কালোয় ময়না নিজের কালোকে লুকিয়ে রাখতে পারে। শুধু মাত্র অভিজ্ঞ মানুষ তার ডাক শুনে বুঝতে পারেন, যে এটা ময়না পাখি। না দেখা ময়না কে যেমন অন্ধকারে শুধু কণ্ঠস্বর শুনে আবিষ্কার করা যায়, তেমনই পোস্টমর্টেমেও অন্ধকারে থাকা কারণকে সামান্য সূত্র দিয়ে আবিষ্কার করা হয়।

সামান্য সূত্র থেকে আবিষ্কার হয় বড় থেকে বড় রহস্যের সমাধান। পাওয়া যায় আসল অপরাধীদের। পাওয়া যায় মৃত্যুর কারণ। তাই পোস্ট মর্টেমের বাংলা হয়েছে – ময়না তদন্ত।