অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

জামিন পেল মিতু্ হত্যার অন্যতম আসামী মুছার ভাই সাক্কু

0
.

চট্টগ্রামের আলোচিত  সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার আসামি সাইদুল ইসলাম শিকদার সাক্কুকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সাথে কেন নিয়মিত জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে আদালত চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।

আজ মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন আদেশ দেন।

গেলো বছরের জুলাই মাসে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাইদুল ইসলাম শিকদার মিতু হত্যা মামলার অন্যতম সন্দেহভাজন মুছার ছোট ভাই।

আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কুমার দেবুল দে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা। হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার আনোয়ার ও ওয়াসিম জবানবন্দিতে বলেছেন, মাহমুদা হত্যার পুরো বিষয়টির সমন্বয় করেন কামরুল শিকদার ওরফে মুছা। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন মুছা, নবী, ওয়াসিম, কালু, রাশেদ, শাহজাহান, আনোয়ারসহ সাত-আটজন।

আসামিদের মধ্যে নবী ও রাশেদ গত বছরের ৫ জুলাই ভোরে রাঙ্গুনিয়ায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। আর মুছাকে ২২ জুন বন্দর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে বলে দাবি করে আসছেন, তাঁর স্ত্রী পান্না আক্তার। তবে পুলিশ তা অস্বীকার করে বলছে, মুছাকে খোঁজা হচ্ছে। পলাতক রয়েছেন আসামি কালু।

গত বছরের ২৭ জুন নগরের বাকলিয়া এলাকা থেকে মাহমুদা হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র-গুলিসহ ভোলা ও তাঁর সহযোগী মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ২৮ জুলাই বাকলিয়া থানার পুলিশ দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। কিন্তু অস্ত্রের উৎস এবং কার নির্দেশে ভোলা সেই অস্ত্র মুছাকে দিয়েছিলেন, তা তদন্তে স্পষ্ট হয়নি।