অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ফটিকছড়িতে রক্তপাতের পাঁয়তারা করছে ইঞ্জি. মোশাররফ

4

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

.

আগামী দিনে ফটিকছড়িতে নৌকার মনোনয়ন কে পাবে না পাবে এটা নিয়ে চিন্তা না করে, গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে নিজ এলাকার মনোনয়ন নিশ্চিত করার পরমার্শ দিয়েছেন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শীর্ষ নেতা আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি।

তিনি বলেন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ গত নির্বাচনে ফটিকছড়িতে আমি নৌকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে তার ঘনিষ্টজন ড. মাহমুদ হাসানকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করিয়ে আমাকে হারাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আল্লাহ সহায় থাকায় পারেননি।

নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বুধবার রাতে মাইজভান্ডারস্থ গাউসিয়া রহমান মঞ্জিলে ফটিকছড়ি আওয়ামী পরিবার আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি তাঁেক নিয়ে দেয়া ফটিকছড়ি আ’লীগ আয়োজিত একটি শোকসভায় গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে ভান্ডারী বলেন, ফটিকছড়ির মানুষ বরাবরই শান্তিপ্রিয়। বহিরাগত কেউ যদি এখানে এসে অশান্তির বীজ বপন করতে চায় তবে ফটিকছড়ির মানুষ তাকে আগামীতে আর ছাড় দেবে না। উস্কানিমূলক কথা-বার্তার সমুচিত জবাব দেয়া হবে।

তিনি বলেন, আশাকরি নিজের অবস্থানের মর্যাদা রক্ষায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ সচেষ্ট হবেন এবং ফটিকছড়ির ব্যাপারে নাক গলানো থেকে বিরত থাকবেন। তিনি আরো বলেন, এতদিন আমি আ’লীগের বিবাদমান দু’পক্ষের সাথে সমতা বজায় রেখে উন্নয়ন ও সাংগঠনিক কাজ করেছি। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ ফটিকছড়িতে এসে আ’লীগকে বিভক্ত করে রক্তপাতের পায়তারা শুরু করেছেন। আমি তা চাই না। তবে আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় উপায়হীন হয়ে এখন থেকে আওয়ামী পরিবারকে সমর্থন জানাচ্ছি এবং তাদের সামনে নিয়ে পথচলা শুরু করলাম। আগামী নির্বাচন এবং চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড তাদের নিয়ে চলবে।

বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য নানামূখি ষড়যন্ত্র হয়েছে-হচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীদের সে দিবা-স্বপ্ন ভেস্তে গেছে। শেখ হাসিনা এখন শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি বিশ্ব নেতা হিসেবে পরিগণিত হচ্ছেন।

ফটিকছড়িতে অতীতের সকল রেকর্ড় ভেঙ্গে বর্তমান সরকারের আমলে ১২শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত হয়েছে দাবী করে মাইজভান্ডারী বলেন, এত টাকার উন্নয়ন কাজ মন্ত্রী নিজের এলাকা মীরসরাইতেও করতে পারেননি।

উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান এসএম সোলাইমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল আলম বাবু।

সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম বাবু বলেন, আমরা আজন্ম আওয়ামীলীগ। আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। ফটিকছড়ি আ’লীগের নির্বাচিত সভাপতি-সম্পাদককে অনেক সময় দেয়া হয়েছে তারা তা কর্ণপাত না করে নিজদের পছন্দসই পকেট কমিটি গঠন করেছে। এটা আওয়ামী পরিবার মানে না। আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে এ পকেট কমিটি সংশোধিত না হলে পরবর্তী দায়ভার আমাদের নয়। প্রয়োজনে পাল্টা কমিটি দেয়া হবে। তিনি বলেন, আমাদের নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ সাহেব ফটিকছড়িতে আসেন আ’লীগের বিভক্তি সমাধানে নয় বিভাজন তৈরী করতে। তিনি এতবার আসলেন কই কোন উন্নয়ন প্রকল্প তো দেননি। শুধু বিভক্তকরণ আর এমপিকে গালি দিতেই তিনি হেলিকপ্টার ভাড়া করে ফটিকছড়ি আসেন। বঙ্গকন্যা নজিবুল বশরকে নৌকা দিয়ে পাঠানোয় আমরা তাকে বানিয়েছি। তাকে অপমানিত করা মানে আমাদেরও অপমানিত করা। সুতরাং এমপিকে নিয়ে আর কোন কটুক্তি করলে প্রতিবাদ, প্রতিশোধ এবং প্রতিরোধ করা হবে।

তিনি আরো বলেন, যিনি দুর্নীতি মামলায় দুদকের আসামী তার মূখে অন্যের বিরুদ্ধে মন্তব্য করা মোটেই শোভা পায় না।

সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এইচএম আবু তৈয়ব, এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী, হাসান সরোয়ার আজম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা খায়রুল বশর চৌধুরীসহ নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহার মুক্তা, চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, ইব্রাহিম মিয়া তালুকদার, হারুনুর রশিদ কালু, এসএম সোয়েব আল সালেহীন, আওয়ামীলীগ নেতা মুজিবুল হক মজুমদার, এনামুল হক বাবুল, মোহাম্মদ জিন্নাত আলী, খোরশেদুল আলম ভাষানী, আব্বাস উদ্দীন বাদল, জিএস আব্দুল কুদ্দুস, কাউন্সিলর রফিকুল আলম, জসিম উদ্দীন চৌধুরী, এসএম মাসুদ পারভেজ প্রমূখ।

৪ মন্তব্য
  1. Yousuf Mohammed বলেছেন

    হা হা হা
    একি শুনলাম!!

  2. MD Alauddin বলেছেন

    কবে!?

  3. Adv M A Naser বলেছেন

    প্রিয় ফটিকছড়ি র আওয়ামী রাজনীতিতে নেতৃত্ব শূন্যতা ,সংকট ,সত্যিই পীড়াদায়ক,ফলে নীতিহীন, ডিগবাজি খাওয়ারাই ভরসা।

  4. Yousuf Mohammed বলেছেন

    ভান্ডারীরা ত গত নয় বৎসর যে আগুন দিয়েছে! জামায়াত শিবিরের অন্তরে!!
    সেটার কি হবে?