অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ভ্রমণের আগে যে খাবারগুলো খাবেন না মোটেও

0

ভ্রমণ চলাকালীন সময়ে টুকটাক কিছু খাওয়া- এমনটা অভ্যাস আছে অনেকেরই। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনের আর দশটা দিনের চাইতে ভ্রমণের দিনটি যেহেতু বেশ কিছুটা আলাদা, তাই এসময় খাবার নির্বাচনের ক্ষেত্রেও আপনাকে মাথায় রাখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যাপার। পানি আর পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি এড়িয়ে চলতে হবে নানারকম খাবার। যেহেতু এসময় শরীরের খাদ্যগ্রহণের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকেনা তাই খেয়াল রাখতে হবে খাদ্যের পরিমাণ আর সহজপাচ্যতার প্রতিও। আর তাই এসব দিকে লক্ষ্য রেখেই ঠিক কোন কোন খাবার ভ্রমণের সময় এড়িয়ে চলবেন আপনি জেনে নিন।

১. ফাস্ট ফুড
ভ্রমণের আগে ফাস্ট ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সাধারনত বাস, ট্রেন, বিমান- সবখানেই সাধারন খাবারের চাইতে বেশি বিক্রি হয় ফাস্ট ফুড। দেখতে আর খেতে ভালো হলেও এই খাবারগুলো আপনার শরীরকে করে তোলে অনেকটাই দূর্বল। এমনিতেই ভ্রমণের সময় শরীরের খাদ্যগ্রহন প্রক্রিয়া ঠিকমতন কাজ করেনা। আর এই অতিরিক্ত পরিমাণ স্নেহ সেটাকে করো তোলে আরো অস্বাভাবিক। বিশেষ করে আকাশে ভ্রমণের সময় রক্ত চলাচলকে বাঁধা দেয় এগুলো। খাদ্যগ্রহন, পরিপাক আর রক্ত চলাচলে অসুবিধা- ভ্রমণের সময় সবকিছুতেই ঝামেলা সৃষ্টি করে ফাস্টফুড।

২. গ্যাস সৃষ্টিকারী খাবার
ভেতর থেকে সমস্যা সৃষ্টি করে, বিশেষ করে আপনার যদি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে, এমন খাবার থেকে যতটা সম্ভব দুরত্ব বজায় রাখুন ভ্রমণের আগে। গ্যাস এমনিতে ফাস্ট ফুড আর তেলযুক্ত খাবার থেকেই তৈরি হয়। তবে ভ্রমণের সময় গ্যাসের বেলুন হয়ে না উঠতে চাইলে এগুলোর পাশাপাশি বিরত থাকুন ফুলকপি, পেঁয়াজ, বাঁধাকপিসহ আপনার গ্যাস সমস্যার সৃষ্টি করে এমন সব ধরনের খাবার থেকে। কারণ, ভ্রমণের সময় গ্যাসজনিত সমস্যা কেবল আপনারই নয়, ঝামেলা তৈরি করতে পারে অন্যদের জন্যেও।

৩. নেশাজাতীয় দ্রব্য
অনেকেই, বিশেষ করে আকাশপথে ভ্রমণকারী যাত্রীরা ভ্রমণের আগে ভয় দূর করতে অ্যালকোহল পান করে নেন। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এমনিতে খুব একটা সমস্যা না হলেও রক্তে পানির পরিমাণ কম থাকলে অ্যালকোহল বিমানে ভ্রমণকারীদের জন্যে হয়ে উঠতে পারে মারাত্মক নেশার কিংবা মাথাব্যাথার। আর তাই যদি মনের ভয় দূর করতে খানিকটা অ্যালকোহল পান করতেও হয় আপনাকে, চেষ্টা করুন প্রচুর পানিও পান করতে।

৪. কার্বনেটেড খাবার ও পানীয়
ভ্রমণের আগে কার্বনেটেড পানীয়, যেমন- কোকা কোলা পান করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এগুলো আপনার ভেতরে অস্বস্তিসহ তৈরি করতে পারে উদ্বায়ী বায়ুরও। নিশ্চয়ই এটা ভালো লাগবেনা আপনার যে আপনার পাশের আসনের মানুষটি খানিক পরপর ঢেকুর তুলে যাচ্ছেন। আর তাই কার্বনেটেড খাবার ও পানীয় থেকে দূরে থাকুন ভ্রমণের সময়।

৫. সবকিছু
নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি জার্নাল অনুসারে গবেষকেরা পরামর্শ দেন ভ্রমণের, বিশেষ করে বিমান ভ্রমণের পর জেট লেগের ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে ভ্রমণের আগে ১৬ ঘন্টা ধরে সব ধরনের খাদ্যগ্রহন থেকে বিরত থাকতে। এতে করে জেট লেগের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে বলে ধারণা করেন তারা।

৬. আইসক্রীম এবং ফল
আইসক্রীম একবার জমাট বাঁধে, এরপর আবার খানিকটা গলে যায়, তারপর ফের জমাট বাঁধে। আপনি না খাওয়া অব্দি এটি কতবার এই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যায় সেটা বলাটা মুশকিল। আর বারবার জমাট বাঁধার ফরে এতে থাকে অনেক বেশি ব্যাকটেরিয়া। এছাড়াও পাতলা খোসাযুক্ত ফল, যেমন- আপেল, জাম ইত্যাদিতে সহজেই ব্যাকটেরিয়া চলে আসতে পারে আর ছড়িয়ে পড়তে পারে আপনার শরীরে। তাই শক্ত খোসাযুক্ত ফল, যেমন- আম, পেঁপে, কমলা ইত্যাদি গ্রহন করুন আর আইসক্রীমকে খানিকটা কষ্ট হলেও না বলুন।