অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বিএনপির সাথে রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া কোন নির্বাচন হবে না

0
.

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য করার ষড়যন্ত্র করছে কিন্তু সরকারের সে ষড়যন্ত্র আমরা সফল হতে দেব না। খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোন নির্বাচন বিএনপি বাংলাদেশে হতে দেবে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর প্রেক্ষাপট আর বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এক নয়। বিএনপির সাথে রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়া কোন নির্বাচন বাংলাদেশে হবে না।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সম্মূখস্থ মাঠে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির প্রয়াত ৫জন নেতার স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

যাদের স্মরণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয় সেই পাঁচ নেতা হচ্ছেন জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এ.জেড.এম. বজলুল করিম, নুরুল আবছার চৌধুরী পাখি, আহসানুল হক হাসান, আলী আহমদ ও কাজী মুছা।

সভায় নোমান বলেন, দূর্নীতিবাজ মন্ত্রী এমপিদের সমন্বয়ে গঠিত সিন্ডিকেট চট্টগ্রাম বন্দরকে দূর্নীতি ও লুটপাটের আখড়ায় পরিণত করেছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী সবকিছুতে চট্টগ্রাম বিরোধী মনোভাব পোষন করেন। সম্প্রতি লস্কর পদে নিয়োগ পাওয়া ৯২ জন সবাই মাদারীপুরের বাসিন্দা। এভাবে চট্টগ্রাম বন্দরকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা আর চলতে দেওয়া যাবে না। চট্টগ্রামের স্বার্থে চট্টগ্রামবাসীকে রাজনৈতিক মত পার্থক্যের উর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

নোমান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামবাসীকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং বিতর্কিত লস্কর পদে নিয়োগ বাতিল করতে হবে।

.

চট্টগ্রাম মহানগরী এখন একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত নগরীর রুপ ধারন করেছে উল্লেখ করে নোমান আরো বলেন, বৃষ্টির পাশাপাশি জোয়ারের পানিতেও নগরী প্লাবিত হয়। রাস্তাঘাট ভেঙ্গেচুরে বেহাল দশা হয়েছে। অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকান্ড এখন নগরবাসীর দূর্ভোগের অন্যতম কারন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্বেও এর কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে অনেকটা বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মত। নাগরিক সেবা দিতে ব্যর্থ হলেও সিটি কর্পোরেশন হোল্ডিং ট্যাক্স ২০০% বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি অবিলম্বে সিটি কর্পোরেশনের গৃহকর বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত বাতিল করে পূর্বের নিয়মে গৃহকর আদায় করার দাবী জানান।

প্রয়াত ৫ নেতাকে স্মরণ করে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, প্রয়াত এই ৫ নেতা ছিলেন জাতীয়তাবাদী শক্তির অকুতোভয় সৈনিক। দলের জন্য তাঁদের যথেষ্ট আত্মত্যাগ ছিল। তাঁদের আদর্শকে অনুসরণ করে বিএনপিকে শক্তিশালী করার জন্য তিনি বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।

স্মরণ সভা উদযাপন কমিটির আহবায়ক এম.এ. হালিমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব নুর মোহাম্মদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মিথ্যা মামলা ও জেলের ভয় দেখিয়ে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। বিএনপির কোটি কোটি নেতাকর্মী রয়েছে সময়ের প্রয়োজনে তারা বুকের রক্ত দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে আওয়ামীলীগকে বাধ্য করবে। বিএনপি কারো রক্ত চক্ষুকে ভয় পায় না।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। সকল ভেদাভেদ ভুলে দলকে শক্তিশালী ও সংগঠিত করার জন্য তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিএনপিকে শক্তিশালী ও সংগঠিত করে আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। চট্টগ্রামের মাটি হচ্ছে বিএনপির দূর্ভেদ্য ঘাঁটি, এটি আগামী নির্বাচনে প্রমানিত হবে।

আলোচনা সভায় বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নূরী আরা সাফা।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ইউনুচ চৌধুরী, সাবেক যুগ্ন সম্পাদক আলহাজ ছালাউদ্দিন, নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আজম খান, এডভোকেট আবু তাহের, আবদুল আউয়াল চৌধুরী, সেকান্দর চৌধুরী, ডাঃ খুরশীদ জামিল, উত্তর জেলা বিএনপি নেতা অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ সেলিম চেয়ারম্যান, সৈয়দ নাছির উদ্দিন, কুতুব উদ্দিন খান, হাসান মোঃ জসিম উদ্দিন, মাহাবুব ছাফা, জামশেদুর রহমান, তোফাজাজল আহম্মদ, যুবদল নেতা সোলায়মান মঞ্জু, ছাত্রদলের সরোয়ার উদ্দিন সেলিম, শ্রমিক দল সভাপতি মোস্তাফা কামাল, মুক্তিযোদ্ধা দল সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দিন, কৃষক দল সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম লতিফী, জাসাস নেতা শাহিদুল ইসলাম চৌধুরী সাঈদ, বিএনপি নেতা আয়ুব খান, মহিলাদলের নারগিছ আকতার,  ছাত্রদলের জাহেদুল আবছার জুয়েল, খোরশেদুল আলম, মনিরুল আলম জনি, মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম প্রমূখ।