অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

শ্রম আদালত কোর্টহিলের মূল ভবনে স্থানান্তরের দাবী বিএইচআরএফ’র

1
.

দেশের ২য় বৃহত্তম আদালত ক্যাম্পাস চট্টগ্রামের আদালত পাহাড়ের মূল আদালত ক্যাম্পাস থেকে বিচ্ছিন্ন পাঁচলাইশের জলমগ্ন এলাকা থেকে শ্রম আদালত প্রত্যাহার এবং তা কোর্টহিলের মূল আদালত ভবনে স্থানান্তরের জোর দাবী জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন বিএইচআরএফ উক্ত মানবাধিকার সংগঠনের ডাইরেক্টর অর্গানাইজিং এডভোকেট জিয়া হাবীব আহ্‌সান, ডাইরেক্টর পাবলিসিটি ও কমিউনিকেশন এডভোকেট মোঃ শরীফ উদ্দিন প্রদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে উক্ত দাবী জানানো হয়।

বিবৃতিতে মানবাধিকার নেতৃবৃন্দগণ বলেন, চট্টগ্রাম শ্রম আদালত যানজটপূর্ণ চকবাজারস্থ কাতালগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত। এলাকাটি সামান্য বৃষ্টিতে প্রায় জল্মগ্ন থাকে। ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম জেলা বারের বিজ্ঞ আইনজীবীগণ শ্রম আদালতে গিয়ে মামলা পরিচালনা করতে পারেন না। শ্রম আদালতে বর্তমানে প্রায় ১৬০০ মামলা পেন্ডিং আছে।

অথচ চট্টগ্রাম বিভাগে দুটি শ্রম আদালতের স্থলে মাত্র একটি আদালত সপ্তাহে ১দিন বিচার কার্য্য পরিচালনা করে। বৃহত্তর সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিপুল সংখ্যক মামলা নিস্পত্তি একটি মাত্র শ্রম আদালত দিয়ে পরিচালনা প্রায়ই অসম্ভব। শ্রম আদালতের বিচারক সংকটের বিষয়গুলি দেখ-ভাল করার কেউ নেই।

ফলে বিচার প্রার্থী সাধারণ শ্রমিকদের দূঃখ-দুর্দশার শেষ নেই। উক্তরূপ পরিস্থিতিতে শ্রম আদালত ও বিদ্যুৎ আদালত চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনে স্থানান্তরের দাবীতে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আইনজীবীগণ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। ফলশ্রুতিতে বিদ্যুৎ আদালত আগ্রাবাদ হতে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে স্থানন্তরিত হয়েছে। কিন্তু দুঃখনজনক হলেও সত্য যে, স্বার্থান্বেষী মহল দুরভিসন্ধিমূলকভাবে শ্রম আদালত অঙ্গনে না এনে পাঁচলাইশ থানার পার্শ্বস্থ একটি ভাড়া বাসায় স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যা কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়।

বিবৃতিদাতারা শ্রমিক-মালিক-আইনজীবীদের সুবিধার্থে এবং আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শ্রম আদালত চট্টগ্রাম আদালত ভবনে স্থানান্তরে প্রশাসন ও সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।

১ টি মন্তব্য
  1. Zia Habib Ahasan বলেছেন

    Onek Onek dhonnobad Saiful Islam Shilpi