অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে ঔষধ ব্যবসায়ীদের অবৈধ ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি করেছে ক্যাব

1

চট্টগ্রামে ফার্মেসীতে ভেজাল ওষুধ পাবার পর আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে জরিমানা করায় ঔষধ ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের কারনে সাধারন রোগী ও জনগনের জীবনরক্ষাকারী ওষুধের প্রাপ্যতায় মারাত্মক বিগ্ন ঘটায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে অবৈধ ঘর্মঘট প্রত্যাহরের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ।

বহদ্দারহাটে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানার কারনে জেলাব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেবার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, জনস্বার্থ রক্ষায় রাস্ট্রীয় জনগরুত্বপুর্ন ভ্রাম্যমান আদালতের কারনে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, আইনশৃংখলা রক্ষা, ভোক্তা অধিকার ও জনস্বার্থ রক্ষায় প্রশাসনের উদ্যোগ পুরো বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।

ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করা হয় তখনই কিছু আসাধু ব্যবসায়ীরা মোবাইল কোর্টেও বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নানা কর্মসুচি পরিচালনা করে থাকেন। মোবাইল কোর্টেও কারনে সাধারন জনগনের মৌলিক অধিকার সুরক্ষায় তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত আবিস্কৃত হয়নি। মোবাইল কোর্টেও কার্যকারিতা না থাকলে সমজে অপরাধীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।

বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটি ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব বিভাগীয় সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসসিন সুলতানা পারু, সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ পৃথিবীর ১২২টি দেশে রূপ্তানী হলেও দেশে মানহীন ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন থেমে নেই। যা দেশের সম্ভাবনায় ওষুধ শিল্পের জন্য মারাত্মক হুমকি। একশ্রেণীর নীতিআদর্শবিহীন ওষুধ ব্যবসায়ী নামক মুনাফা শিকারীরা ফার্মেসীগুলিতে অনুমোদন বিহীন, মেয়াদউত্তীর্ণ, ঔষধের নামে মাদ্রক দ্রব্য, ফুড সাপ্লিমেন্ট বিক্রির মতো ওষুধ বিপণনে অনৈতিক কর্মকান্ড জড়িত। কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগ ও ওষুধ প্রশাসনের দায়িত্বহীন কর্মকান্ডে ও নজরদারির ফাঁকে সাধারন খাদ্যে পণ্যের মতো ভেজাল ওষুধের রমমরমা ব্যবসায় দিনে দিনে কোটিপতি হবার বাসনায় বেশী লাভের আশায় ভেজাল, মানহীন, অনুমোদনহীন ও মেয়াদৌত্তীর্ন ওষুধ বিক্রয়ে আগ্রহী। যার কারনে ভেজাল খাদ্যে মরার মতো অবস্থা হয়ে আছে।

এখন মানুষ ওষুধ না খেলে মরছে না, ভেজাল ওষুধ খেলে মরার সম্ভাবনা বেড়েছে। আর এই জীবন রক্ষাকারী ওষুধের বাজারে ভেজালের স্বর্গ রাজ্য তৈরীতে মুল হোতা হলো ফার্মেসীগুলি। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন, র‌্যাব ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা শুরু করার পর থেকে ফার্মেসী ও কেমিস্ট ও ড্রাগিষ্ট সমিতি, বিএমএসহ বিভিন্ন সংগঠন বারংবার জেলা প্রশাসন ও সরকারকে বিভ্রান্ত ও নিয়ন্ত্রণের অপচেস্টায় লিপ্ত ছিল।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন ,সরকার ও প্রশাসন কতিপয় সুযোগ সন্ধানী অসাধু ব্যবসায়ীদের সাথে আপোষ করার কারনে পুরো দেশ ও জাতির ভবীষ্যৎ অন্ধকার হয়ে পড়ছে। জীবনরক্ষাকারী ওষুধ উৎপাদন ও বিপননে ভেজাল অবৈধ ওষুধ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন না করলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় মারাত্মক ব্যাথ্যয় ঘটবে আর এ ধরনের অপরাধ রাস্ট্রদ্রোহের শামিল।

নেতৃবন্দ আশা করেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের অন্যায্য দাবীর কাছে মাথা নত না করে দেশ জাতিকে ভেজাল, নকল, মানহীন অবৈধ জীবনরক্ষাকারী ওষুধের ব্যবসায় ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠায় সরকার ও প্রশাসন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করবেন। -প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

১ টি মন্তব্য
  1. Bahar Uddin বলেছেন

    কি নির্লজ্জ ওষুধ ব্যবসায়ীরা। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখবে, বিক্রি করবে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে ধর্মঘর শুরু করবে।