অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ধর্ষণকারীর সাথে ধর্ষিতার বিয়ে দেয়া যাবে না

1
.

ধর্ষণকারী বা অপহরণকারীর সঙ্গে কোন অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেয়া নিষিদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশে। এমনটি একটি আইনের খসড়া বিধিমালা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ সরকার।

সরকারের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের এই বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করে।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ পাশ হয়। এতে ১৯ ধারায় বলা হয়েছিল, বিশেষ পরিস্থিতিতে, আদালত ও অভিভাবকের সম্মতিতে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে দেয়া যাবে।

আইনটি মানবাধিকার কর্মী ও বিভিন্ন সংস্থার ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। কারণ কোন পরিস্থিতি বিশেষ পরিস্থিতি বলে বিবেচিত হবে সেটি পরিষ্কারভাবে উল্লেখ ছিল না।

মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ ছিল-বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার মেয়েদের সালিশের মাধ্যমে ধর্ষকের সাথে বিয়ে দেয়ার একটি সামাজিক রীতি প্রচলিত রয়েছে। আপোষে এমন বিয়ের মাধ্যমে ধর্ষক প্রায় সময় বিচার এড়িয়ে যায়। এতে বাল্য বিয়ের সুযোগ বাড়বে।

এই ধারা আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছেন মানবাধিকার আইনজীবী সালমা আলী বলেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ হবে অপরাধটা যাতে না হয় সেটা দেখা। হলে সরকার ও প্রশাসন ভিকটিমের পক্ষে থাকবে। আইনে যা আছে সেই অনুযায়ী বিচার হবে।’

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নীনা গোস্বামী বলেন, ‘ধর্ষকের সাথে বিয়ে দেয়া যাবে না বলে যে বিধিমালা আসতে যাচ্ছে সেটি ১৯ ধারার ঘাটতি কিছুটা মেটাবে। আইনটা করার আগেই ১৯ ধারাটা না রাখার জন্য আমরা বারবারই বলেছিলাম। কোন অপরাধীর সাথেই যাতে বিয়ে হতে না পারে সেজন্য কোন একটা বিধি রাখার জন্য আমরা সুপারিশ করে আসছিলাম। যেহেতু আইনটা যেহেতু পাশ হয়ে গেছে তাই এই বিধি কোনও না কোনভাবে অন্তত একটা ব্যাকআপ দেবে।’

বাংলাদেশের নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ বলছেন, ‘যে বিধিমালাটির খসড়া চূড়ান্ত হলো তাতে বলা হয়েছে ধর্ষক, অপহরণকারী বা জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনকারীর সঙ্গে বাল্য বিয়ে দেয়া নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। খসড়াটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে যাবে, তারপর অনুমোদনের জন্য সংসদে। আমরা বিধিমালায় পরিষ্কারভাবে বলেছি, ধর্ষণের শিকার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে ধর্ষকের সাথে বিয়ে দেয়া যাবে না।’

১ টি মন্তব্য
  1. Amin Mohammad বলেছেন

    তার মানে কি ধর্ষণ আরো বেড়ে যাবে..!!