অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

জুড়াছড়ির আ:লীগ নেতা অরবিন্দু হত্যা মামলায় ইউপি মেম্বারসহ আটক-৫

0
.

রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধিঃ
রাঙামাটির জুড়াছড়িতে আঞ্চলিকদলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দু চাকমা হত্যা মামলায় একজন ইউপি মেম্বারসহ ৫জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃতরা হলো, ৪নং দুমদুম্যা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার লক্ষী লাল চাকমা, মানস চাকমা, রবিধন চাকমা, হেমন্ত চাকমা ও উত্তম কুমার চাকমা।

রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে এই পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি জেলার পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান।

আটককৃতদেরকে সোমবার রাঙামাটিস্থ আদালতে উপস্থাপন করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে পুলিশের পক্ষ থেকে।

উল্লেখ্য পার্বত্য চুক্তির বর্ষপূর্তির তিনদিন পরেই ৫ই ডিসেম্বর সন্ধ্যারাতে জুড়াছড়ি উপজেলা সদরে নিজ বসতঘর থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দু চাকমাকে। সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা-ই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে।

এদিকে একইদিনে জেলার বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রাসেল মারমার উপরও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় আঞ্চলিক দলীয় সন্ত্রাসীরা। এছাড়াও জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় প্রতিপক্ষের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয় ইউপিডিএফ এর সাবেক নেতা ও সাবেক মেম্বার অনধি রঞ্জন চাকমা।

এই সকল ঘটনার প্রতিবাদে রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। এই কর্মসূচীতে অংশ নেওয়ার অপরাধে জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ঝর্ণা খীসা ও তার পরিবারের সদস্যদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে আঞ্চলিক দলীয় সন্ত্রাসীরা।

এদিকে এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট্য থানাগুলোতে মামলা দায়ের করে নিহতের পরিবারের স্বজন ও পুলিশের পক্ষ থেকে। চাঞ্চল্যকর এসব ঘটনায় মামলা দায়েরের পর হতেই রাঙামাটির পুলিশের পক্ষ থেকে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঘটনার পর হতে অধ্যাবদি পর্যন্ত এক উপজেলা চেয়ারম্যান ও একজন ইউপি মেম্বারসহ সর্বমোট ১৯জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ও শুক্রবার ভোররাতে আটক হওয়া ১২জনের জামিন ও রিমান্ডের আবেদন বাতিল করে আগামী ১২ তারিখে আবারো শুনানীর দিন ধায্য করেছেন রাঙামাটির কগনিজেন্স আদালতের বিচারক কাজী মোহাম্মদ মহসিন। রোববার দুপুরে আদালত এই আদেশ প্রদান করেন।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান জানিয়েছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মূল হোতাদের আটক করা পর্যন্ত এই অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।