অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টলার প্রিয় নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী আর নেই

0
.

অবশেষে চীর বিদায় নিলেন চট্টগ্রামের গণ মানুষের নেতা, চট্টলবীর আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। ১৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টায় নগরীর মেহেদিবাগস্থ বেসরকারী ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীনবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহে….. রাজেউন)।

ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী খান মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করার পর হাসপাতালে অপেক্ষামান সাংবাদিকদের কাছে মৃত্যুর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানান মহিউদ্দিনের ছেলে ও কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউল হাসান চৌধুরী নওফেল।

এদিকে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে মৃত্যু ঘোষাণার পরপরই হাসপাতালে অপেক্ষমান শত শত নেতাকর্মীর মধ্যে কান্নার রোল পড়ে যায়। প্রিয় এ নেতাকে হারিয়ে নেতাকর্মীরা শোক বিহ্বল হয়ে হয়ে পড়েন।

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে থাকা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের শাররীক অবস্থার অবণতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় তাঁকে নগরীর মেহেদিবাগে বেসরকারি হাসপাতাল ম্যাক্সে ভর্তি করা হয়।

তখন ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা.লিয়াকত আলী খান মহিউদ্দিন চৌধুরীর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানান।
তিনি বলেন, শারীরিক অবস্থা একবার খারাপ হচ্ছে, একবার একটু উন্নতি হচ্ছে। প্রেশার কমে যাচ্ছে। এটাকে আমরা সংকটাপন্ন অবস্থা বলছি। তিনি আবারো সুস্থ হয়ে ফিরবেন, এমনটা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে মহিউদ্দিনের বড় ছেলে ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে তার বাবা আবারো অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি সকলের কাছে দোয়াও চেয়েছেন।

নিজ বাসায় মৃদু হার্ট অ্যাটাক এবং কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে গত ১১ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদিবাগে ম্যাক্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরদিন দুপুরে মহিউদ্দিনকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নিয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

১৬ নভেম্বর অসুস্থ মহিউদ্দিনকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সিঙ্গাপুরের অ্যাপোলো গ্লিনিগ্যালস হসপিটালে মহিউদ্দিনের এনজিওগ্রাম এবং হার্টের দুটি ব্লকে রিং বসানো হয়। সিঙ্গাপুরে ১১ দিনের চিকিৎসা শেষে ২৬ নভেম্বর রাতে তাঁকে নিয়ে দেশে আসেন স্বজনরা। এরপর তাকে আবারো স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) মহিউদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে চট্টগ্রামে ফেরেন স্বজনরা।