অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কক্সবাজারে দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

0
গুলি-করে-হত্যা
ছবি: প্রতিকী।

কক্সবাজারের মহেশখালি ও টেকনাফ উপজেলায় ৩ ঘন্টার ব্যবধানে দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।

এর মধ্যে রবিবার রাত দেড়টার দিকে টেকনাফ উপজেলা সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি মেম্বার সিরাজুল ইসলাম সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন। গভীর রাতে দূর্বৃত্তরা বাড়ীতে ঢুকে তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে।

এর আগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মহেশখালির সোনাদিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা নাগু মেম্বারকে গুলি ও কুপিয়ে দুর্বত্তরা।

নিহত ইউপি মেম্বার সিরাজুল ইসলাম পরিবার সুত্রে জানায়,রবিবার দিবাগত রাত (সোমবার) রাত দেড়টার দিকে মুখোজধারী কয়েকজন সন্ত্রাসী বাড়িতে ঢুকে সিরাজ মেম্বারকে গুলি করে। এসময় তার স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তারও গুলি বিদ্ধ হন।

খবর পেয়ে থানা পুলিশের এসআই কাঞ্চন কান্তি দাশের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক সিরাজ মেম্বারকে মৃত ঘোষনা করেন।

এছাড়া তার স্ত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজারে প্রেরন করেন। টেকনাফ থানার ওসি আবদুল মজিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে সোনাদিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা নাগু মেম্বারকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

জেলার মহেশখালী সোনাদিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফুর প্রকাশ নাগু মেম্বারকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যাকরা হয়। রবিবার রাত ১০টায় স্থানীয় পূর্বপাড়া মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ শেষে বের হওয়ার পথে তাকে খুব কাছ থেকে প্রথমে গুলি ও পরে এলোপাতাড়ি কুপানো হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১০ টার দিকে সোনাদিয়া পূর্বপাড়া মসজিদ থেকে তারাবিহ’র নামাজ পড়ে বের হন আব্দুল গফুর প্রকাশ নাগু মেম্বার। ওই সময় ৪/৫ জনের অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ করে খুব কাছ থেকে গুলি ছুড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মাটিতে লুটে পড়লে ধারালো দা দিয়ে তার মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

স্থানীয় লোকজন রাত সাড়ে দশটায় আহত নাগু মেম্বারকে চিকিৎসার জন্য প্রথমে মহেশখালী গোরকঘাটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আনার পথে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আব্দুল গফুর প্রকাশ নাগু মেম্বার কুতুবজোম ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড (সোনাদিয়া) থেকে এর পরপর চারবার সদস্য নির্বাচিত হন।

তিনি কুতুবজোম ইউনিয়নের একজন প্রভাবশালী নেতা এবং আগরতলা ষঢ়যন্ত্রমুলক মামলায় পলাতক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে ছিলেন। কুতুবজুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্বৃত্তরা নাগু মেম্বারকে গুলি ও কুপিয়েছে এটা শুনেছি।

তবে কারা, কি কারণে গুলি করেছে, তা স্পষ্ট বলতে পারেননি। তবে নিহত নাগু মেম্বারের পারিবারিক সুত্র জানান, প্রতিপক্ষের লোকজনই এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) বাবুল চন্দ্র বণিক জানান, গুলিবর্ষনের ঘটনা শুনে সোনাদিয়ায় যাওয়ার জন্য পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। তবে সাগর উত্তাল থাকায় পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেরি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নাগু মেম্বার হত্যা কান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান চলছে।