অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামীলীগ সুষ্ঠ নির্বাচনে ৩০টির বেশী আসন পাবে না

0
.

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং জেল, জুলুম ও নির্যাতনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে পূণরায় দীর্ঘ মেয়াদে কুক্ষিগত করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে কিন্তু সরকারের সেই নীল নকশা বুমেরাং হয়ে যাবে। বিএনপি জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে বিএনপির সাথে রাজনৈতিক সংলাপে বসতে বাধ্য করবে। ৫ জানুয়ারী মার্কা প্রার্থী ও ভোটারবিহীন কোন নির্বাচন বাংলাদেশে আর হতে দেওয়া হবে না।

তিনি আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রামের নগরীর মুসলিম ইনষ্টিটিউট হলে সাবেক জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফোরামের উদ্যোগে প্রয়াত চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর স্মরণে আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব বক্তব্য দেন।

নোমান বলেন, দেশে দূর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসব চলছে। চাল, পেয়াজ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিসহ সব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই অবস্থায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে আওয়ামীলীগ ৩০টির বেশী আসন পাবে না।

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাজিমুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাবেক সদস্য সচিব ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোক সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম আকবর খোন্দকার। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী।

নোমান আরো বলেন, বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতি। যেখানে মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতি থাকবে না, সেখানে সংগঠন হবে না। জেল, জুলুম, মিথ্যা মামলা ও হামলা রাজনৈতিক নেতাদের নিত্য সংগী, এগুলোকে যারা আলিঙ্গন করতে পারবে না, তারা নেতৃত্ব দিতে পারবে না।

সভায় গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, সরকার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এটি হচ্ছে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্র আমাদের রুখে দিতে হবে। প্রয়াত ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ আলীকে একজন দক্ষ ও শ্রেষ্ঠ সংগঠক উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়াত মোহাম্মদ আলীর আদর্শকে ধারণ করে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথের আন্দোলন জোরদার করতে পারলে গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার অনেক সহজ হবে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী বলেন, প্রয়াত ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ আলী তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন বলিষ্ট সংগঠক ছিল। সাংগাঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে সে সবার কাছে স্থান করে নিয়েছিল। এ্যানী বলেন, আমরা একটা কঠিন সময় পার করছি। ১০ বছর ধরে আমরা ক্ষমতার বাইরে আছি। শেখ হাসিনা যে প্রক্রিয়ায় ১০ বছর ধরে ক্ষমতা ভোগ করছেন ঠিক একইভাবে আগামী ৫ বছর পূনঃরায় ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার আগেই আমাদেরকে মাঠে নামতে হবে।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন। চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিন জেলায় নেতৃত্বদানকারী সাবেক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে আবু সুফিয়ান, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, এস.এম. ইকবাল হোসেন, জসীম উদ্দিন শিকদার, নুরুল আমিন, শাখাওয়াত জামাল দুলাল, মোশারফ হোসেন দিপ্তী, আহমেদুল আলম রাসেল, নূর মোহাম্মদ, ইউনুচ চৌধুরী, মনজুর রহমান চৌধুরী, রাশেদ মোহাম্মদ আলী, আনোয়ার হোসেন লিপু, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, শিহাব উদ্দীন মুবিন, মোহাম্মদ সেলিম, শওকত আজম খাজা, হাসান জসীম, এম.এ. হামিদ, এম.আর. চৌধুরী মিল্টন, আমিনুল ইসলাম তৌহিদ, মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন বুলু, মাইনুদ্দীন শহীদ ও প্রয়াত মোহাম্মদ আলীর বড় ভাই মোহাম্মদ ইউসুফ প্রমূখ।