সীতাকুণ্ডের সেই চাঁদাবাজ স্বাস্থ্য সহকারীকে শাস্তিমূলক বদলী
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চাঁদাবাজির অভিযোগে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী সুরেশ চন্দ্র দাশকে শাস্তিমূলক বদলী করা হয়েছে। উপজেলার তিনটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মালিকের চাঁদাবাজির লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে তাকে বদলী করা হয়েছে বলে সত্যতা নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা.আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।
গতকাল বৃহস্পতিবার পাঠক ডট নিউজে এ নিয়ে সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসনের টনক নড়ে। তাৎক্ষনিক তাঁকে বদলীর আদেশ ও এ ঘটনা তদন্তে ৩ সদেস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস।
সিভিল সার্জন ডা.আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, দোকান মালিকদের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের লিখিত অভিযোগ পেয়ে স্বাস্থ্য সহকারী সুরেশকে বৃহস্পতিবার বিকালে সীতাকুণ্ড থেকে বোয়ালখালীতে শাস্তিমূলক বদলী করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত স্বাপেক্ষে আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা.মো.হুমায়ন কবির,হাটহাজারী ইউএইচিপিও ডা.শেখ ফজলে রাব্বী,মেডিকেল অফিসার ডা.মো.ওয়াজেদ চৌধুরীর সম্বনয়ে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে আরো কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অভিযোগকারী জোরামতল এলাকার ভাই ভাই বেকারীর ও ভাই ভাই হোটেলের দু’মালিক শরিফুল ইসলাম ও মো.শামীম বলেন,গত ২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার স্বাস্থ্য সহকারী সুরেশ নিজেকে উপজেলা স্যানিটেশন কর্মকর্তার সহকারী পরিচয় দিয়ে তাদের পরিচালিত বেকারী ও হোটেল ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করেন।
এতে অব্যাহত হুমকিতে আমরা দু’জনে সাড়ে ৫ হাজার টাকা দিলে তিনি চলে যান। ঘটনার পরের দিন বুধবার আমরা সুরেশের আসল পরিচয় জানতে পারি। এতে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে আমাদের নাজেহাল ও চাঁদা আদায়ের ঘটনায় বিচার চেয়ে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন বরাবরে লিখিত অভিযোগ জমা দেয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সুরেশ দাশের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি ওসবে জড়িত নয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তা নুরুল করিম রাশেদ চাঁদাবাজির অভিযোগে শাস্তিমূলক বদলীর সত্যতা স্বীকার করে বলেন,ইতিমধ্যে অভিযোগের সত্যতা নিরিক্ষনে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
*সীতাকুণ্ডে স্বাস্থ্য কর্মী সুরেশ দাসের চাঁদাবাজি
বদলি করে অন্য জায়গায় চাঁদাবাজী করার সুযোগ করে দিল। এদেরকে ডাইরেকট গুলি করে মারা দরকার।
তাকে কেউ কেউ মহান বলছে ফেসবুকে, জামাত নাকি তার পিছু নিছে। কোনটা সঠিক?
কি বলেন..? এখানে জামায়াত আসবে কেন..? তাছাড়া তার অপরাধ প্রমাণ না হলে তাকে কর্তৃপক্ষ শাস্তি দিবে কেন..?
কারন জামাতা সত্য বলে। হয়তো তাই সন্দেহ করছে।
একজন ফেসবুকার লিখলো উনি নাকি সীতাকুন্ডে জঙ্গী ধরাই দিছিল তাই জামাত একাজ করছে।
তার মানে উনি জংগি সংগঠনের লোক। নাহলে, সি অই ডি জানার আগে উনি জানলো কামনে।
সে যে চাঁদাবাজি করেছে এটা একেবারে ১০০ ‘/. সত্য। প্রমাণ হাতে নিয়েই নিউজটা করেছি।