অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বিদায় বছরে চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৭৭ জন

0
.

২০১৭ সালে সড়কপথে ৩ হাজার ১৩১টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৯৭ জন। সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা জেলায়। এ জেলায় ৪০১টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪২৭ জন। এরপরের অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম, ২২৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২৭৭ জন। এছাড়া গত বছরের তুলনায় সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট দুর্ঘটনার ঘটনায় নিহতের পরিমাণ এ বছর ২৭ শতাংশ বেড়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে বেসরকারি সংগঠন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)।

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ২০১৭ সালে দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, ২০১৬ সালের সারাদেশে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ৪ হাজার ১৪৪ জন। ২০১৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৪৫ জন। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১৭ সালে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে বড় শহর ও হাইওয়েতে। ভ্যান, রিকশা, নছিমন, অটোরিকশাসহ অনেক অবৈধ যানবাহন এসব দুর্ঘটনার জন্য বেশি দায়ী।

.

সংবাদ সম্মেলনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে মোট ৩ হাজার ৩৪৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সড়কপথে ৩ হাজার ১৩১টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৯৭ জন এবং আহত হয়েছেন ৭ হাজার ৭৩৬ জন। রেলপথে ১৪৭টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২০১ জন। নৌপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ৫৫ জন আহত হয়েছেন। লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়, আইন অমান্য করে হাইওয়েতে ধীরগতির যানবাহন থাকার কারণে দুর্ঘটনা এড়ানো যাচ্ছে না। এবং এদের কারণে দূরপাল্লার বড় গাড়িগুলোর চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এমনকি স্থানীয় প্রশাসন ও হাইওয়ে পুলিশকে এ ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে না।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, হাইওয়েতে ধীরগতির গাড়ির হেডলাইট না থাকার কারণে ঘন কুয়াশা ও বৃষ্টির সময় দুর্ঘটনাগুলো ঘটে থাকে। যেখানে ঘন কুয়াশায় লঞ্চ, স্টিমার, নৌকা এমনকি উড়োজাহাজ চলাচল পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়; সেখানে কুয়াশায় গাড়ি চালানোর জন্য নির্দিষ্ট গতি নির্ধারণ করা সত্ত্বেও তা মানা হয় না। ২০১৬ সালে ট্রাক দুর্ঘটনার পরিমাণ বাসের তুলনায় অনেক কম ছিল কিন্তু এ বছর ট্রাক ও বাস উভয়ই প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হওয়ায় দুর্ঘটনার সংখ্যা এখন প্রায় সমান সমান।

সরকার ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর উদ্যোগে গাড়িচালকদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করার কারণে কিছু কিছু চালকের অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর প্রবণতাও অনেকাংশে কমেছে। তবে ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান না করার কারণে সব গাড়িচালকের মধ্যে এখনও সচেতনতা বৃদ্ধি পায়নি।?