মহেশখালীতে যুবলীগ নেতাকে গুলি ও জবাই করে হত্যা
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির পর আবচার নামের এক যুবলীগ নেতাকে প্রথমে গুলি ও পরে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার হোয়ানকের কালাগাজিরপাড়া বাজার এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে বিভিন্ন সুত্র। নিহত আবছার ওই এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানান, উপজেলার হোয়ানকের কালাগাজিরপাড়া বাজার এলাকায় রাত ৯ টার দিকে ১০-১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে। এ সময় বাজারের লোকজন প্রাণ ভয়ে দিগবিদিক ছুটে যায়। তবে ওই সময় বাজারে অবস্থান নেয়া মোহাম্মদ আবছার নামের এক যুবলীগ নেতাকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে আবছার মাটিতে লুটে পড়লে দুর্বৃত্তরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে জবাই করে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েই ঘটনাস্থলে মুত্যুও কাছে হার মানেন আবছার।
নিহত আবছার স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলে জানিয়েছেন তার ছোট ভাই নুরুল আমিন। তিনি জানান, স্থানীয় আয়ুব আলী, আবু আহমদ, জসিম, আনোয়ার, আমিরুল ও কায়সার তার ভাইকে হামলার ঘটনায় সরাসরি অংশ নেন।
এদিকে, ঘটনার পর আবছারের লোকজন বাজারে এসে হামলাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। রাত ১০টা পর্যন্ত এলাকায় ব্যাপক গুলাগুলি চলে।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, এলাকার চিহ্নিত ও আলোচিত সন্ত্রাসী জোনাব আলী বাহিনী এবং জালাল বাহিনীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দদ্র করেই জোনাব আলী বাহিনীর হাতে আবছার খুন হন।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আবছারকে যুবলীগ নেতা বলে দাবি করা হলেও মহেশখালী উপজেলা যুবলীগ বলছেন, নিহত আবছার যুবলীগের কেউ নয়।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, পুলিশের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এইসব মনে হয় আর বন্ধ হবেনা।
good. everyone is paid back his own activity.
জয়বাংলা বলে আগে বাড়ো
আইনশৃঙ্খলা খুবই ভাল।