সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীর উরস শরিফ উপলক্ষে মাইজভান্ডারী ট্রাস্টের দশদিন ব্যাপী কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে এ কর্মসূচীর ঘোষণা করে ট্রাস্টের সচিব এ এন এম এ মোমিন।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রাস্টের সচিব এ এন এম এ মোমিন এসময় সাংবাদিকদের জানান, সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারের ১১২তম ওর শরিফ উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ১০দিন ব্যাপী কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৩ জানুয়ারি সকালে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তন-এ ‘যাকাত তহবিল পরিচালনা পর্ষদ’ আয়োজিত ১৬ পর্বে যাকাত বিতরণ কর্মসূচি ও ‘মাইজভান্ডারীয়া ত্বরিকার রূপরেখা : তত্ত্ব ও বাস্তবতা’ শীর্ষক সেমিনার। ১৫ জানুয়ারি বিকেলে ‘থিয়েটার ইন্স্টিটিউট চট্টগ্রাম’-এ ‘বিশ্ব সংকট মোকাবেলায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপের গুরুত্ব’ শীর্ষক ‘আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি সম্মিলন’। ১৬ জানুয়ারি বিকেলে বিবিরহাটস্থ ‘এস জেড এইচ এম ট্রাস্ট মিলনায়তন’-এ ট্রাস্ট মহিলা মহিলা সংগঠন ‘আলোর পথে’ আয়োজিত ‘ধর্মীয় দৃষ্টিতে সুদ, ঘুষ ও ফ্যাশন’ শীর্ষক মহিলা মাহফিল। ১৭ জানুয়ারি বিকেলে ‘মুসলিম ইন্স্টিটিউট হল’-এ ‘মাইজভাণ্ডারী একাডেমি’ আয়োজিত ‘তাসাওউফে ইসলামী ও মাইজভান্ডারীয়া ত্বরিকা’ এবং ‘সুন্নীয়ত প্রচারে মাইজভান্ডারীয়া ত্বরিকার অবদান’ শীর্ষক ‘উলামা সমাবেশ’।
১৮ জানুয়ারি সকালে মাইজভাণ্ডার শরিফ ‘পূর্ববাড়ি সম্মেলন কক্ষে’ ‘বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যবহারিক শিক্ষার গুরুত্ব’ এবং ‘বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ও নীতি নৈতিকতা চর্চা’ শীর্ষক শিক্ষক সমাবেশ, বিকেলে নগরীর জাকির হোসেন রোডস্থ ‘তাভা কনভেনশন হল’-এ ‘দি মেসেজ’ আয়োজিত ‘ইসলামে নারীদের অবদান’ শীর্ষক মহিলা মাহফিল। ১৯ জানুয়ারি সকালে ‘মাইজভান্ডারী একাডেমি’ আয়োজিত ‘১১তম শিশু-কিশোর সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণী’ নাসিরাবাদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। ২০ জানুয়ারি সকালে বিবিরহাটস্থ ‘এস জেড এইচ এম ট্রাস্ট মিলনায়তন’-এ মেধাবৃত্তি প্রাপ্তদের মাঝে বৃত্তির অর্থ প্রদান অনুষ্ঠান’। ২১ জানুয়ারি সকাল ৯টায় ‘এস জেড এইচ এম ট্রাস্ট’ নিয়ন্ত্রণাধীনে পরিচালিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের র্যালী ও আলোচনা। ২২ জানুয়ারি দুপুরে ফটিকছড়ি উপজেলার রেজিস্টার্ড এতিমখানাসমুহের শিক্ষার্থীদের একবেলা খাবার সরবরাহ, ২৩ জানুয়ারি জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, ইসলামের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সম্বলিত দুর্লভ চিত্র ও ভিডিও প্রদর্শনী, উপদেশমূলক, দিক-নির্দেশনা সম্বলিত প্রচার, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা এবং ২৪ জানুয়ারি সকাল ৭টায় প্রধান সড়ক হতে হযরত গাউসুল আযম মাইজভান্ডারীর পুকুর পাড় এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাস্টের সচিব এ এন এম এ মোমিন জানান, সমাজে অসাম্প্রদায়িকতা ও বিশ্বভাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করাই ছিল সৈয়দ আহম্মদ উল্লাহ মাইজভান্ডারীর মূল লক্ষ্য। তার শিক্ষার অন্যতম দিক হলো বিশ্বের সকল মানুষ, সে যে ধর্মেরই হোক না কেন, সে আদম সন্তান, তাই সে আমার ভাই।
এছাড়াও আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ট্রাস্টের মিডিয়া এডভাইজার ও সাংবাদিক নেতা নাজিমুদ্দিন শ্যামল ও ট্রাস্টের প্রশাসনিক ও সমন্বয় কর্মকর্তা তানভীর হোসাইন
মাইজভান্ডারী ১০০%ইসলাম বিরোদি আকিদা 01720468498