অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সংকট নিরসনে সরকারের উচিত জাতীয় সংলাপ আহবান করা

0
BNP-PHOTO-09-07-2016-(C)
ঈদের ৩য় দিন নিজ বাসায় দলীয় নেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন আব্দুল্লাহ আল নোমান।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, জঙ্গী হামলা ও সন্ত্রাসী তৎপরতা জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে, এই সংকট নিরসনে জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা জরুরী হয়ে পড়েছে। সরকারের উচিত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আহবানে সাড়া দিয়ে অবিলম্বে জাতীয় সংলাপ আহবান করা।

তিনি ঈদ উপলক্ষে ঈদের তৃতীয় দিন শনিবার দুপুরে তাঁর চট্টগ্রামের বাসভবনে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিন জেলা বিএনপি ও অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবি এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তাঁর সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

নোমান বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে দেশে গণতন্ত্রহীনতা এবং ভোটাধিকার হরণের কারনেই জঙ্গীবাদ বিস্তার লাভ করেছে। সরকার জঙ্গীবাদ দমনের পরিবর্তে জঙ্গীবাদকে লালন করার মাধ্যমে বিএনপিকে দমন করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গীবাদ দমনের পরিবর্তে গ্রেপ্তার বানিজ্য করছে। সরকারী দলের নেতার ছেলেরা জঙ্গী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছে।

জাতীয় এ নেতা বলেন, সরকার আসলে জঙ্গী দমন করতে চাই নাকি জঙ্গীবাদকে পরোক্ষভাবে উস্কানী দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে চাই এটাই এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং দেশের জনগণ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তিনি বলেন, সরকার যদি এই সংকট নিরসন করতে চাই, তাহলে সরকারের উচিত অবিলম্বে জাতীয় সংলাপ আহবান করা এবং গণতন্ত্রের রুদ্ধ কপাট খুলে দেওয়া।

BNP-PHOTO-09-07-2016-(A)
ভিআইপি ব্যাঙ্কুইট বাসায় নেতা কর্মীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছায় ব্যস্ত আব্দুল্লাহ আল নোমান।

মতবিনিময়কালে বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগাঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রম সম্পাদক এ.এম. নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম, নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সাবেক যুগ্ন সম্পাদক এম.এ. সবুর, এ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, কাজী আকবর, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহাবুদ্দিন, আহমেদুল আলম রাসেল, আবদুল মান্নান, শাহেদ বকস, উত্তর জেলা বিএনপি নেতা এম.এ. হালিম, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, নুর মোহাম্মদ, এডভোকেট আবু তাহের, আবু আহমেদ হাসনাত, দক্ষিন জেলা বিএনপি নেতা অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী টিপু, হুমায়ুন কবির আনসার, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সভাপতি গাজী সিরাজউল্লাহ, বন্দর শ্রমিকদলের সভাপতি শামসুল আলম, মহানগর বিএনপি নেতা হাজী বাবুল হক, মোশারফ হোসেন ডিপটি, জসিম উদ্দিন জিয়া, মাহবুব আলম পান্না, সাইফুল আলম, ফাতেমা বাদশাহ, আরজু শাহাবুদ্দিন, ইকবাল হোসেন, সৈয়দ শাহাবুদ্দিন আলম, তোফাজ্জল হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, দিদারুর রহমান সুমন, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, কাজী শামসুল আলম প্রমূখ।