অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সীতাকুণ্ডে সিএইচসিপি’র লাগাতার কর্মবিরতি

0

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
চাকুরী রাজস্ব খাতে উন্নীত করার দাবীতে সারাদেশের মতো লাগাতার অবস্থান কর্মসূচী পালন করছে সীতাকুণ্ডের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার-সিএইচসিপি।

আজ শনিবার সকাল থেকে কাজে যোগ না দিয়ে উপজেলা চত্বরে কর্মীরা অবস্থান নেয়। সীতাকুণ্ড উপজেলায় মোট ২২ টি ক্লিনিক রয়েছে। লাগাতার আন্দোলনের ফলে আজ থেকে সবকটি ক্লিনিক বন্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য যে, দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর প্রতিটিতে রয়েছেন একজন করে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার-সিএইচসিপি। সপ্তাহের ছয় দিনের মধ্যে তিনদিন সেবা দান করেন পরিবার কল্যাণ সহকারী আর তিনদিন সেবা দান করেন স্বাস্থ্য সহকারী। সপ্তাহের ছয় দিনই কর্মরত থাকেন সিএইচসিপি। দেশে তের হাজার পাঁচশ সিএইচসিপি নিয়োগ দেয়া হয় ২০১১ এর অক্টোবরে।

ইতোমধ্যে আরও সিসি প্রতিষ্ঠা ও সিএইচসিপি নিয়োগ করা হয়েছে। এটি একটি মেয়াদ ভিত্তিক প্রকল্পের আওতাধীন, যা কিনা স্বাস্থ্য বিভাগের সবচেয়ে বড় নিয়োগ। নিয়োগটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ। এটি বর্তমান সরকারের একটি অগ্রাধিকার খাত। যার সফলতা খানিকটা নির্ভর করে সিএইচসিপিগণের কর্মকাণ্ডের ওপর।

সিএইচসিপিগণের জানা আছে, স্বল্প সময়ের জন্য তারা নিয়োগপ্রাপ্ত। তাই অনেকেই দুশ্চিন্তায় আছেন এই ভেবে যে, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাদের সরকারী চাকুরীর বয়সসীমা পেরিয়ে গেছে।

এতে করে সিসি’র কাজকর্ম কিছুটা হলেও বিঘ্নিত হচ্ছে সিএইচসিপিদের রাজস্ব খাতে উন্নীত করা হলে তের হাজার পাঁচশ কর্মী বেকার হওয়ার আশঙ্কা থেকে যেমন রেহাই পায় তেমনি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ হওয়ার আশঙ্কামুক্ত হয়। সুতরাং তাদেরকে দ্রুতই রাজস্ব খাতে উন্নীত করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয় বলে মনে করে তারা।

যদি কোন কারণে সিসিগুলো স্থবির বা বন্ধ হয়ে যায়, তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে অবহেলিত, সুবিধা বঞ্চিত, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। তারা রাজনীতি বুঝেন না, তারা চান সিসিগুলো সমুন্নত থাকুক। ক্লিনিকগুলোর সেবা যেন কোনদিন বন্ধ না হয়।