অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আটককৃতরা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য

0
anserullah_team_250515-thumbnail
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের লগো।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে জঙ্গি সন্দেহে আটক ৪ জন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন  আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত শনিবার উপজেলার বাড়বকুণ্ড এলাকা থেকে এ ৪ জনকে আটক করলেও পুলিশ এতো দিন তাদের আটকের বিষয়টি আনুষ্ঠানিক স্বীকার করেন নি।

আজ সোমবার রাতে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার দেখায়। গ্রেফতারকৃত ৪ জন হলো আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের বায়তুল মাল সম্পাদক মুছা ইবনে উমায়ের (২৫) টিমের সদস্য মো. শিপন ওরফে ফয়সাল (২৫), খোরশেদ আলম (৩১) ও রাসেল মো. ইসলাম (৪১)।

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তার জানান, গোপন খবরের ভিক্তিতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৩ সদস্যকে রবিবার রাতে বাড়বকুণ্ড বাজারের পূর্ব পাশে একটি গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় একই এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মুছা ইবনে উমায়েরকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি চাপাতি ও চারটি কিরিচ, ছয়টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ ও একটি ট্যাব এবং বেশকিছু জিহাদি বই।

এসপি জানান, এ চারজনকেই রোববার রাতে আটক দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এদিকে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ জানায়, আটক চারজনের মধ্যে মুছার বাড়ি পটিয়া উপজেলায়, খোরশেদের বাড়ি আনোয়ারা উপজেলায় ও রাসেলের বাড়ি সীতাকুণ্ড উপজেলায়। শিপনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এ নিয়ে শনিবার প্রকাশিত নিউজ লিঙ্ক

সীতাকুণ্ডে জঙ্গি সন্দেহে ৪ জনকে আটক নিয়ে পুলিশের রহস্যজনক ভুমিকা

উল্লেখ্য: সীতাকুণ্ড পুলিশের একাধিক সুত্র জানায়, গোপন সংবাদের পুলিশ জানতে পারে বাড়বকুণ্ডস্থ চিটাগাং কেমিক্যাল কমপ্লেক্সে কর্মরত চীনা নাগরিকদের ওপর জঙ্গিরা হামলার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ খবরে শুক্রবার বিকেল থেকে পুলিশ জঙ্গিদের আটক করতে অভিযানে নামে। শনিবার বিকেলে সন্দেহভাজন ৪ জঙ্গিকে পুলিশ আটক করে সীতাকুণ্ড থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। এ সময় চট্টগ্রাম জেলার এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। তবে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে থানায় কোনো সাংবাদিককে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে জানতে এএসপি মোস্তাফিজুর রহমান ও সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি ইফতেখার হাসানের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করলেও তারা ফোন ধরেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, দুপুরে ৪ জনকে আটক করে চোখ বাঁধাবস্থায় নিয়ে যেতে দেখেছি সম্ভবত তাদের নিয়ে অভিযানে বেরিয়েছে। তবে যেহেতু আমার দায়িত্ব সীতাকুণ্ড থানায় নেই তাই আমি বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।

বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজি সাংবাদিকদের বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে একজন দুষ্কৃতকারীর একটি ভাড়া ঘরে এ জঙ্গিরা আশ্রয় নিয়েছিল। পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করলেও ওই দুষ্কৃতকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। চেয়ারম্যান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বাড়বকুণ্ডের সিসিসিতে কর্মরত বিদেশিদের ওপর জঙ্গিদের হামলার পরিকল্পনা থাকতে পারে।

তবে থানার ডিউটি অফিসার এস আই তারেক মাহমুদ জানান, বাড়বকুণ্ড থেকে জঙ্গি সন্দেহে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের নিয়ে অভিযানে বেরিয়েছে পুলিশ। তাই এখনো বিস্তারিত জানা যাচ্ছে না।

তবে রাত ১১টার দিকে ফোন করে ওসি ইফতেখার হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কই কোন জঙ্গি টঙ্গি আমরা আটক করিনি। আমিতো কোন মিডিয়াকে বলিনি জঙ্গি আটকের কথা।

দুপুর থেকে কেন সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করছেন না এ প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, মিডিয়ার লোকজন বার বার ফোন করে বিরক্ত করছে এ কারণে কারো ফোন ধরি নাই। জঙ্গি ধরলেতো আমরা নিজেরাই মিডিয়াকে জানাতাম। এতো বড় খবর গোপন করবো কেন?